সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ৩০, ২০১৯

মহাত্মা গান্ধীকে যথাযথ সম্মান জানিয়েছে বাংলার সরকার

মহাত্মা গান্ধীকে যথাযথ সম্মান জানিয়েছে বাংলার সরকার

আজ জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস। বাংলার সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর একটি আত্মিক যোগাযোগ ছিল। ১৯৪৭ সালের ১৪ই অগস্ট মধ্যরাতে যখন ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়, সেই সময় তিনি কলকাতার বেলাঘাটায় গান্ধী ভবনে ছিলেন। গান্ধী ভবনের আগে নাম ছিল হায়দারি মঞ্জিল। এখানে একটি মিউজিয়ামও আছে। গান্ধীজির ব্যবহৃত চরকাটিও সযত্নে রাখা আছে এই গান্ধীভবনে। বহু দুষ্প্রাপ্য ছবি রয়েছে দেওয়ালে পর পর টাঙানো।

মহাত্মা গান্ধীকে যথাযথ সম্মান জানিয়েছে বাংলার সরকার। প্রত্যেক বছর সম্মানের সাথে ওনার জন্ম এবং প্রয়াণ বার্ষিকী পালিত হয় রাজ্যে। এমনকি, এবছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজ্যের ট্যাবলোর থিম ছিল ‘শান্তিনিকেতন ও বেলেঘাটায় মহাত্মা গান্ধী’। ১৯১৫ সালের মার্চ মাসে শান্তিনিকেতনে গান্ধীজির সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ তুলে ধরা হয় ট্যাবলোতে। ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট চওড়া ট্রেলারের উপরে সাজানো ট্যাবলোর অগ্রভাগে ছিল ফাইবারের মডেল। মডেল দুটির পিছনে ছিল রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতনের বাড়ি শ্যামলী’র আদলে তৈরী একটি বাড়ি। পরের অংশে ছিল জাতীয় পতাকা। ট্রেলারের পিছনের দিকে ছিল বেলেঘাটার তৎকালীন হায়দরি মঞ্জিল, যা বর্তমানে গান্ধীভবন। যেখানে দাঙ্গার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের ১৩ আগস্ট থেকে ৭৩ ঘণ্টার অনশন করেছিলেন গান্ধীজি।

রাজ্য সরকার মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধশতবর্ষ উদযাপনের উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করে। এই ৪৬ সদস্যের কমিটির শীর্ষে আছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এই কমিটির প্রথম বৈঠক হয় ২০১৮ সালের ২৩শে এপ্রিল যেখানে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই দিনই গান্ধী ভবন সংস্কারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। বেলেঘাটার গান্ধী ভবনের অধিগ্রহণ করে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার ও সংগ্রহশালা তৈরীর কাজের সূচনা করা হয় ২০১৮ সালের ২রা অক্টোবর রাজ্য সরকারের তরফে।

২০১৮ সালের ২রা অক্টোবর অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়েরও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরী হয়ে গেলে স্থানীয় বহু মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হবে।

সারা রাজ্যে মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসকে সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

২০১৯ সালে জাতির জনকের সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্দেশ্যে রাজ্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিতে মেধাবী ভাতা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গান্ধীজির নামে একটি চেয়ার চালু করা হয়। এছাড়া, রাজ্য সরকার গান্ধীজীর বিভিন্ন ভাষণ সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করবে। পুস্তিকাটির নাম ‘ফাদার অফ দি নেশন’।

ফাইল ফটো