জানুয়ারী ৩১, ২০১৯
আজ ৪৩তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে ৪৩তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছরের বইমেলা চলবে ৩১শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি।
এবছরের বইমেলার থিম দেশ হল মধ্য আমেরিকার গুয়াতেমালা। থিম জনজাতি হল লেপচা। গুয়াতেমালার স্থানীয় ২৪টি ভাষার বই পাওয়া যাবে এই মেলায়।
এবছর ৬০০টি বইয়ের স্টল এবং ২০০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল থাকবে বইমেলায়।
এই মেলা প্রাঙ্গনেই অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ কলকাতা সাহিত্য উৎসব। নামী লেখক, কবি, পরিচালক, ঐতিহাসিক এবং অন্যান্য জগতের বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্বরা এখানে উপস্থিত থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:
- বইমেলা আমাদের সকলের প্রাণের মেলা। বইপ্রেমীদের জীবনে বই এর অবদান অনস্বীকার্য। বইপোকাদের জন্য বই এর আর এক নাম জীবন।
- আজকের দিনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের যুগে ইন্টারনেটে, ফেসবুক, টুইটারে বিভিন্ন কায়দায় অনেকে তাদের মতামত, গল্প, কবিতা লেখেন, সাহিত্য চর্চা করেন কিন্তু এক সময় বই-ই আমাদের একমাত্র হাতিয়ার ছিল।
- আজও জীবন যখন শুরু হয় তখন বই দিয়েই শেখা, দেখা, ভাষা জানা, কথা বলা, লেখা শুরু হয়।
- ৪৩ বছর হতে চললো এই কলকাতা বইমেলার; এখানে যা জন সমাগম হয় আর কথাও হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে। তাই এই মেলা বিশ্ব বাংলার বিশ্ব সেরা বইমেলা।
- এই বইমেলা বই দেখার, কেনার, পড়ার, বইকে জানার উৎসব। গত বছর প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন বইমেলায়।
- বাংলার সব উৎসবই সেরা, যেমন দুর্গাপুজো। বড়দিন সারা পৃথিবীতে পালন করা হয়, কিন্তু বাংলায় অন্য মাত্রায় পালিত হয়। এখানে সব ধরনের উৎসব পালন হয়, সব পুজো হয়।
- উৎসব বাংলার প্রাণের স্পন্দন যা মানুষকে আলোড়িত করে, জাগরিত করে, জীবনে স্বপ্নের ভোর আনে, জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলে।
- বই না থাকলে আমরা সভ্য মানুষ হতে পারতাম না। বই-এর মধ্যে থাকে শিক্ষা,সংস্কৃতি, সভ্যতা। বই থেকেই মনীষীদের সম্বন্ধে জানতে পারি, কোনটা ভালো মন্দ বুঝতে পারি।
- বই এর কোন বিকল্প নেই; বই এর বিকল্প বই। আরো বই পড়ুন। বই যাতে ভবিষ্যতে নষ্ট না হয় সেজন্য ডিজিটাইজেশনের ব্যবস্থা করুন।
- মনের কথা লেখনী দিয়ে যতটা লেখা যায় কম্পিউটারে তা প্রকাশ হয় না। কারণ লেখা আর টাইপ করার মধ্যে কিছুটা হলেও তফাৎ থাকে।
- এই বইমেলা আয়োজন করা ছোট কাজ নয়। প্রচুর স্টল, বই, ভাবধারা, দর্শন, শিল্পকলা – বইমেলা একটা মিলন মেলা বলা যায়। যত বই বিক্রি হবে তত বই এর সংসার বড় হবে।
- বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমি ও কিছু কিছু বই লিখি। ইতিমধ্যেই ৮৭টি বই লিখেছি, আগামি বছরের মধ্যে বাকি ১৩ টিও লিখে দেব। আমি যখনই সময় পাই তখনই বই লিখি।
- এবারও নতুন ৭টি বই লিখেছি। এর মধ্যে একটায় রাজনীতির ছোঁয়া আছে; নাম ‘বিপন্ন ভারত’। একটা উর্দু শায়েরির বই আছে। ছোটদের জন্য একটা বই আছে যার নাম শিশুদোলা। একটা কোটেশানের বই লিখেছি, নামাঞ্জলি সমগ্র লিখেছি।
- ইকো পার্কের সামনে একটি ক্যাফে হয়েছে, বেশ জনপ্রিয়, নাম দিলাম অজান্তে।বইমেলা সকলের জন্য স্বার্থক হোক। সকলকে অনেক শুভেচ্ছা। দুষ্টু এসে যেন মিষ্টিকে কেটে দিতে না পারে, বইমেলার সম্মান অক্ষুণ্ন রাখবেন।
ফাইল চিত্র