জানুয়ারী ২৮, ২০১৯
খেলাশ্রী সম্মান প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হল খেলাশ্রী সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান।
খেলাশ্রী প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের কৃতী ক্রীড়াবীদদের সম্মাননা জ্ঞাপন এবং রাজ্যে খেলাধুলো ও ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
২০১১-১২ আর্থিক বছরে এই প্রকল্প চালু হয় এবং এই কর্মসুচীর মাধ্যমে রাজ্যের খেলাধুলার সার্বিক মানোন্নয়ন এবং ক্লাবগুলির কিছু স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি যেমন খেলার সরঞ্জাম, খেলার সরঞ্জামগুলি রাখার জন্য কক্ষ নির্মাণ ইত্যাদির জন্য প্রথম বছর ২লক্ষ টাকা এবং পরবর্তী তিন বছর ১লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
এই বছরের সম্মান প্রাপকরা হলেনঃ
জীবনকৃতী সম্মান
প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি
প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় জয়দীপ মুখোপাধ্যায়
বিশেষ সম্মান
স্বপ্না বর্মন
বিশেষ পুরস্কার
সৌরভ কোঠারি
প্রণব বর্ধন
শিবনাথ দে সরকার
সুমিত মুখার্জী
দেবব্রত মজুমদার
সপ্তর্ষি রায়
ঈশান পোড়েল
মেহুলী ঘোষ
রিমো সাহা
মৌমা দাস
সুতীর্থা মুখার্জী
প্রাপ্তি সেন
জাতীয় চ্যাম্পিয়ন, জুনিয়র ভলিবল মহিলা দল
জাতীয় চ্যাম্পিয়ন, সিনিয়র টেবিল টেনিস মহিলা দল
সারা ভারত বিসিসিআই ৫০ ওভারে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সিনিয়র ক্রিকেট মহিলা দল
ক্রীড়া গুরু
প্রদীপ কুমার কুন্ডু
কল্যাণ চৌধুরী
মহ আলি কামার
স্বপন সাধু
অমৃতলাল চক্রবর্তী
মিনারা বেগম
তপন চন্দ্র
বাংলার গৌরব
মুক্তি সাহা
অরূপ ভট্টাচার্য
গার্গী ব্যানার্জী
সত্যব্রত (রাজু) মুখার্জী
রণদেব বসু
শ্যাম সুন্দর মিত্র
সুব্রত পোড়েল
চৈতালি চ্যাটার্জী
দেবজিৎ ঘোষ
পরিমল দে
সুধীন চ্যাটার্জী
তুষার রক্ষিত
অজিত সিং
সাগরিকা হাজরা
শ্রেয়সী ব্যানার্জী
খেল সম্মান
রাজশ্রী প্রসাদ
রুবিয়া দাস
উৎসবা পালিত
সৃজিত পাল অভিমন্যু ঈশ্বরন
সুকন্যা পরিদা
দেবনীতা রায়
পিন্টু মাহাত
সামাদ আলি মল্লিক
কৌশিক কাজী
মন্দিরা হাজরা চৌধুরী
রাম কুমার শা
চিরঞ্জিত চৌধুরী
দীপিকা চৌধুরী
অর্জুন দাস
সতীর্থ বিশ্বাস
স্বদেশ মন্ডল
ঐহিকা মুখার্জী
রনিত ভঞ্জ
তিথি ধাড়া
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:
- আজ দিব্যেন্দু বড়ুয়া দাবা আকাদেমি চালু করা হল
- ২০১৩ সাল থেকে আমাদের সরকার খেলাশ্রী সহ জীবনকৃতী সম্মান, বিশেষ সম্মান, বিশেষ পুরস্কার, বাংলার গৌরব, খেল সম্মান দেওয়া শুরু করেছে
- আজ বাংলার ২২১টি কোচিং সেন্টারকে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হল। এর আগে গ্রামবাংলার ও শহরের ২৪০০০ ক্লাবকে ৫ লক্ষ টাকা (প্রথম বছর ২ লক্ষ টাকা-পরবর্তী ৩ বছর ১ লক্ষ টাকা) আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে, আজ আরও ৪৩০০ ক্লাবকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হল, আরো ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে আগামী ৩ বছরে। তারা নিজেদের ভাল করে তৈরী করবে।
- ২০১১ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় আসি তখন ক্রীড়া দপ্তরের বাজেট ছিল ৭৩ কোটি টাকা এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫১৫ কোটি টাকা, ৭ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে
- যারা কৃতী খেলোয়াড় তাদের কর্মজীবন যাতে সুরক্ষিত হয় তাহলে তাদের সাহায্য হয়।
- জঙ্গলমহল তরাই ডুয়ার্স দার্জিলিং ক্লাব সব জায়গায় বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়
- পুলিশের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ক্লাবে পালন হয়, জেলাভিত্তিক যারা চ্যাম্পিয়ন ও কো-চ্যাম্পিয়ন হয় তাদের সিভিক পুলিশের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এভাবেই জেলা ফুটবলকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে।এর আগে ২৮১ জনকে পুরস্কার দিয়েছি, এই প্রক্রিয়া চলবে।
- শুধু খেলার সময় মনে রাখব, সারা বছর নয় তা হয় না। অনেককে দেখেছি যখন কেউ খেলায় জেতে তখন একটা করে টুইট করে দেয়, কিন্তু সারা বছর কি হচ্ছে কেউ খবর রাখে না।
- অনেক কৃতী খেলোয়াড় আছে, যারা সম্মান তো দূরের কথা , দু মুঠো খেতে পায় না। অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়, কেউ নজর রাখে না।
- যারা পারে না তাদের জন্য স্বল্পকালীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার ভাবনা করতে বলব ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরকে
- অনেক সাংস্কৃতিক দপ্তরের অনেক শিল্পীদের পেনশনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। যারা বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার পায় তাদের শেষ জীবনে চিকিৎসা থেকে শুরু করে অনেক সাহায্য করি
- অনেক পরিচিত, প্রতিষ্ঠিত, কৃতি, সম্মানীয় অভিনেতাদের আমরা সাহায্য করি, আমরা পাবলিসিটি করি না
- সব কিছু পাবলিটির জন্য নয়, আন্তরিকতার কখনও পাবলিসিটি হয় না , আন্তরিকতা ৩৬৫ দিন হয়, ৫ বছরে একবার হয় না
- জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ার জন্য প্রতি মুহূর্তে আমাদের সংগ্রাম করতে হয়। তাই প্রতিটি মুহূর্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা জগৎকে আরো উৎসাহিত করা হোক
ফাইল চিত্র