সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১৩, ২০১৯

তপশিলি উন্নয়নে ‘রোল মডেল’ বাংলা

তপশিলি উন্নয়নে ‘রোল মডেল’ বাংলা

বাংলা অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিকাশের পথে সারা দেশের রাল মডেল হবে ৷ এই আশা জাতীয় তপশিলি জাতি কমিশনের ৷ কমিশনের রাজ্য স্তরে সর্বশেষ পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলা যে অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়নে ভারতকে দিশা দেবে, তা নিয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে৷ ওই বৈঠকের সমাপ্তিপর্বে কমিশনের চেয়ারম্যান বাংলার অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের কর্তাদের প্রান্তিক মানুষদের সামাজিক অগ্রগতির কাজে নানা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ সামাজিক ন্যায়ের বিকাশে বাংলা অন্য রাজ্যগুলির ‘রোল মডেল -এর ভূমিকা নেবে৷

যে বিষয়গুলিতে বাংলা নজর কেড়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল সরকারি চাকরিতে তপশিলি জাতিভুক্তদের নিয়োগে রাজ্যের প্রয়াস ৷ পর্যালোচনা বৈঠকে এই বিষয়ে অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকরা কমিশনকে জানান, রাজ্যে সরকারি চাকরিতে ২২ শতাংশ পদ তপশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত৷ এ ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুযায়ী, তাঁদের পয়েন্ট রস্টার মেনেই এগনো হয়৷ পাশাপাশি, রাজ্য সরকার তপশিলি জাতি/উপজাতি ও ওবিসিদের চাকরিতে পদোন্নতির জন্য ৫০ পয়েন্ট রস্টার ও সরাসরি নিয়োগের জন্য ১০০ পয়েন্ট রস্টার মেনে চালায়৷ এর ফলে সরকারি চাকরিতে তপশিলি জাতিভুক্তদের নিয়োগের হার ১৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের জন্য কমিশন সর্বশেষ পর্যালোচনা বৈঠকটি করেছে ২০১৭ এর অক্টোবরে৷

তপশিলি জাতিভুক্তদের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও রাজ্য সরকার যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তা পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের তরফে পেশ করা পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। যেমন, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্যে উপকৃত তালিকায় রয়েছেন ২৬.৫৩ শতাংশ তপশিলি জাতিভুক্ত৷ যা সরকারি সংরক্ষণ সীমা ২২ শতাংশ কেও অতিক্রম করেছে।

বিনামূল্যে উদ্ধৃত জমি বিতরণেও ১০০ শতাংশ জমি তপশিলিরা পেয়েছেন। পাশাপাশি, চারশোরও বেশি তপশিলি ছাত্রছাত্রীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব ঋণ প্রকল্পও রয়েছে বলে কমিশনকে জাতিভুক্ত মেয়েকে দক্ষতা বিকাশের জন্য বিউটি পালার, বই বাঁধানোর মত নানা কাজে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলার নিজস্ব ঋণ প্রকল্প আছে।