জানুয়ারী ১৯, ২০১৯
ব্রিগেডের জন্য কলকাতা জুড়ে সাজো সাজো রব

ডেস্টিনেশন ব্রিগেড। দূরদূরান্তের জেলা থেকে শিয়ালদা-হাওড়ায় এসে পৌঁচ্ছছেন তৃণমূল কর্মীরা। কেউ এসেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে, কেউ আবার জলপাইগুড়ি থেকে। পিছিয়ে নেই মহিলা, যুব কিংবা তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। বিধান নগরের সেন্ট্রাল পার্কে তৈরী হয়েছে অসংখ্য টেন্ট।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে শেষ ব্রিগেড সমাবেশটি হয়েছিল ২০১৪ সালের ৩০শে জানুয়ারি। সেদিন তৃণমূল নেত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস, অপদার্থ সিপিএম এবং সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষকে একজোট হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ফলস্বরূপ বাংলার মানুষ দু’হাত তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশির্বাদধন্য প্রার্থীকে জোড়াফুলে ভোট দিয়ে বাংলার মানুষ ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনে জয়লাভ করিয়েছিল।
তৃণমূল নেত্রী এবারের ব্রিগেড সমাবেশটির ডাক দেন ২০১৮ সালের ২১শে জুলাই ধর্মতলায় শহীদ মঞ্চ থেকে। এই সমাবেশে দুর্নীতিগ্রস্থ, সাম্প্রদায়িক কেন্দ্রীয় সরকারকে হঠাতে নেত্রী সকল অবিজেপি দলকে এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন। তৃণমূল নেত্রীর ডাকে আজকের সমাবেশে কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা যেমন ব্রিগেড সমাবেশে আসবেন, দিল্লীর আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসবেন, তামিলনাডুর এম কে স্ট্যালিন আসবেন, এছাড়া, শরদ পাওয়ার, শরদ যাদব আসবেন, শত্রুঘ্ন সিনহা আসবেন, যশোবন্ত সিনহা আসবেন, রাম জেটমালানি আসবেন, বিহারের তেজস্বী যাদব আসবেন, উত্তর প্রদেশ থেকে অখিলেশ যাদব আসবেন।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিধান নগরের সেন্ট্রাল পার্ক, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম এবং মধ্য ও উত্তর কলকাতার ধর্মশালাতে রাখা হয়েছে। তাদের সহায়তা করতে ১০০টির বেশী ক্যাম্প খোলা হয়েছে শহরের নানা জায়গায়। এছাড়া, ২০০০এর বেশী স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
দেখে নেওয়া যাক আয়োজনের কিছু খুঁটিনাটিঃ
- মোট মঞ্চ ৫টি
- মূল মঞ্চের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট, প্রস্থ ৪৪ ফুট, উচ্চতা ১০ ফুট
- মোট আসন সংখ্যা: ৫০০
- মূল মঞ্চের দু’টি অংশ থাকবে। সামনের অংশের উচ্চতা একটু কম। যাতে পিছনের অংশের লোকেদের দেখতে পাওয়া যায়
- মূল মঞ্চের দু’পাশে দু’টো করে মঞ্চ থাকবে, সেগুলির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ৪৮,২৮, ৮ ফুট
- মূল মঞ্চের কাছে আসার জন্য ৪টি প্রবেশদ্বার থাকছে
- এলইডি স্ক্রিন ২২টি
- মাইক ১০০০টি
ফাইল চিত্র