জানুয়ারী ২২, ২০১৯
উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চার ট্রেক

প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য সুখবর। রাজ্য বন দপ্তরের উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে ট্রেকিং।
দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার জেলায় পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ হবে ট্রেকিং। মহানন্দা অভয়ারণ্য বক্সা টাইগার রিজার্ভ, নেওরা ভ্যালি ন্যাশানাল পার্ক, জলদাপাড়া ন্যাশানাল পার্ক, সিঙ্গালিলা ন্যাশানাল পার্ক এবং সেঞ্চাই অভয়ারণ্যতে করা হবে ট্রেকিং।
এখানে ট্রেক করতে চাইলে পর্যটককে বন দপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হবে। এন্ট্রি ফি এবং গাইডের খরচও জমা দিতে হবে। এই প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে একটি করে রুট বাছাই করা হয়েছে ট্রেকিং-এর জন্য। এই রুটের আশেপাশে স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত দেখা যাবে।
দপ্তর ইতিমধ্যেই রুটগুলির ম্যাপ সম্বলিত একটি বুকলেট প্রকাশ করেছে। কোথায় তাঁবু করা যাবে, তাও আছে বইতে। এছাড়া আছে জঙ্গলে কি করা যাবে ও কি করা যাবেনা। হোমস্টের সন্ধানও মিলবে ওই বইতে।
নেওরা ভ্যালি ন্যাশানাল পার্কে ট্রেকিং সবথেকে দুর্গম। এই ট্রেকিং করতে সময় লাগে পাঁচ দিন। ট্রেকিং শুরু হয় লাভায় এবং শেষ হয় টোডে-টাংটায়। এর মধ্যে পড়বে চৌদাফেরি , দৌলাখোরা, জরিবুটি, আলুবাড়ি, হাতিছেড়ে, জোরপোখরি, এবং রুকা।
যদি কোনও পর্যটক জলদাপাড়া যেতে চান, তিনি লঙ্কাপাড়া থেকে শুরু করতে হবে এবং ভুটানের সীমানা ধরে ঝর্ণা এবং নদী পেরিয়ে টোটোপাড়া পেরিয়ে আবার লঙ্কাপাড়া ফিরতে পারবেন। এই ট্রেকিং-এ সময় লাগবে চার দিন। টোটোপাড়া হল আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকের প্রাচীন জনজাতিদের আবাস।
ভবিষ্যতে অনলাইন বুকিং এবং নেচার ট্রেল শুরু করা হবে। এই ট্রেকের ফলে গবেষক এবং পড়ুয়ারাও উপকৃত হবেন।