জানুয়ারী ২১, ২০১৯
আগামী বছরে রাজ্যে হবে দু’ডজন শিল্পতালুক, সঙ্গে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান

আগামী এক বছরের মধ্যে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র শিল্প মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় দু’ডজন শিল্পতালুক তৈরী হতে চলেছে বলে জানালেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ এর মধ্যে প্রায় ১৫টি তালুক তৈরী হচ্ছে উত্তরবঙ্গে, বাকি শিল্পতালুক হবে দক্ষিণবঙ্গে৷ এই শিল্পতালুকগুলিতে সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে যে শিল্পতালুকগুলি হচ্ছে, তার সাতটির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে৷ সরকারের হাতে থাকা জমির উপরেই এই তালুকগুলি তৈরী হচ্ছে৷ মূলত উত্তরবঙ্গের এই শিল্পতালুকগুলি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্যই তৈরী হচ্ছে৷ এর ফলে এখানে কর্মসংস্থানের পরিমাণ অনেকটাই হবে।’
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, উৎপাদন, গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রভৃতির কারখানা এখানে গড়ে উঠবে বলেই জানা গিয়েছে৷ তবে চলতি বছর সাতটি তালুক তৈরী হলেও খুব শীঘ্রই আরও আটটি শিল্পতালুক উত্তরবঙ্গে তৈরী হবে৷ সম্প্রতি তিনি বেঙ্গল চেম্বারের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে একথা বলেন৷ এই তালুক গুলিতে জল, বিদ্যৎ, পয়ঃপ্রণালী-সহ পরিকাঠামোগত সবরকম সুবিধা করে দেবে সরকার এখানে গড়ে উঠবে বলেই জানা গিয়েছে৷
তিনি বলেন, সরকার সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গে মোট ১৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পতালুক তৈরীর পরিকল্পনা নিয়েছে৷ এর মধ্যে অর্ধেক চলতি বছরেই তৈরী হয়ে যাবে ৷ আর বাকি অর্ধেক তারপরে তৈরী হবে ৷ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে রাজ্যের হাতে থাকা জমিতে আটটি শিল্পতালুক তৈরী হবে। সেগুলির কাজও শুরু হয়ে গেছে। এই শিল্পতালুকগুলির মধ্যে বেশিরভাগ তালুকই বৃহৎ শিল্পের জন্য তৈরী করা হচ্ছে৷ এই তালুকগুলিতেও পরিকাঠামোগত সবরকম পরিষেবা সরকার প্রদান করবে৷
শুধু সরকারি শিল্পতালুকই নয়, রাজ্য সরকার বেসরকারি শিল্পতালুক তৈরীর উপরও জোর দিচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী৷ ইতিমধ্যেই জগদীশপুর, মহিষবাথান, বারাসত, কোনা, অঙ্কুরহাটির মতো জায়গায় বেসরকারি শিল্পতালুক তৈরী হয়েছে৷ সেখানে প্রায় এক লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে৷ মন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যদি একযোগে কাজ করা যায়, তাহলে রাজ্যের শিল্পায়নের চিত্রও যেমন পরিবর্তন হবে, তেমনই কর্মসংস্থানও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে৷’