জানুয়ারী ২৪, ২০১৯
কন্যাশ্রী মেয়েরা রাজ্যের গর্ব

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বাংলার মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা হয় ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নাবালিকা বিবাহের অবসান ঘটানো ও মেয়েদের শিক্ষার প্রসার করা।
এই বিশ্ববন্দিত প্রকল্পের সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি তথ্য:
১. রাজ্যের ১৬,৬০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৫ লক্ষ কিশোরী ছাত্রী এখনও পর্যন্ত কন্যাশ্রীর আওতায় এসেছে।
২. এখনও পর্যন্ত ৫,০০০ এর বেশী কন্যাশ্রী পেয়েছে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ।
৩. উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় চালু হয়েছে “কন্যাশ্রী দিশারি” প্রকল্প। কন্যাশ্রী প্রাপকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে শুরু হয়েছে এই প্রকল্প।
৪. অনেক কন্যাশ্রী মেয়েকে দেওয়া হয়েছে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ।
৫. ব্রেনওয়্যারের উদ্যোগে ৩০ জন কন্যাশ্রীকে স্বাবলম্বন প্রকল্পে ‘আনআর্মড সিকিউরিটি গার্ডের’ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১৬ জনের কর্মসংস্থানও করা হয়েছে।
৬. ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয় সবলা প্রকল্প। গত ২ বছরে প্রায় ৯৮,৮২০ জন কন্যাশ্রী পেয়েছে Supplementary Nutrition Programme-এর সুবিধা।
৭. আনুমানিক ১৬০০ স্কুলছুট ছাত্রীকে ফেরানো হয়েছে স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, এদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ছাত্রীকে দেওয়া হয়েছে কন্যাশ্রীর সুযোগ সুবিধা।
৮. কেন্দ্রীয় সরকারের Department of Administrative Reforms and Public Grievances এই প্রকল্পকে ২০১৪-১৫ সালে ন্যাশানাল ই-গভর্নেন্স পুরস্কার দিয়েছে।
৯. ২০১৫ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্প Skoch Award ও Order of Merit Award পায় এবং জন্য, ২০১৪-১৫ সালে CSI-Nihilent অ্যাওয়ার্ড পায় ই-গভর্নেন্সের জন্য।
১০. এই প্রকল্প ই-গভর্নেন্স ২০১৬ সালে (WSIS Action Line C7) বিভাগে United Nations WSIS 2016 পুরস্কার পায়। UN WOMEN & ITU আয়োজিত GEMTech Awards 2016 তে চূড়ান্ত পর্যায় অবধি পৌঁছেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প।