January 12, 2019
ভারতীয় জনতা পার্টির শেষের শুরু হয়ে গেছেঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

আগামী ১৯শে জানুয়ারি ব্রিগেড চলো সমাবেশকে সামনে রেখে আজ হুগলীর চুঁচুড়ায় অমরপুর ফুটবল মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভামঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ:
এখানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। হুগলীর মানুষ আজ যে বিশ্বাস আমাদের মধ্যে জাগিয়েছে, তাতে মনে হয় হুগলী জেলা একাই কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ভরিয়ে দিতে পারে। আগামীদিনে হুগলী জেলার তিনটি লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
আমাদের নেত্রী ২০১৮ সালের ২১শে জুলাই ধর্মতলায় ব্রিগেড চলোর ডাক আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শেষ ব্রিগেড চলো সমাবেশ করেছিলাম ২০১৪ সালের ৩০শে জানুয়ারি দুর্নীতিগ্রস্থ কংগ্রেস, অপদার্থ সিপিএম এবং সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে। ফলস্বরূপ বাংলার মানুষ দুহাত তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাইয়ের আশির্বাদধন্য প্রার্থীকে জোড়াফুলে ভোট দিয়ে বাংলার মানুষ ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনে জয়লাভ করিয়েছিল।
আমরা তার পর থেকে মানুষের স্বার্থে রাজ্যে, রাজ্যের বাইরে, সংসদের ভিতরে, সংসদের বাইরে প্রতিবাদ চালিয়ে গেছি। অন্যান্য ব্রিগেড চলোর সঙ্গে এই আসন্ন ব্রিগেড চলোর একটা আলাদা তাৎপর্য আছে।
ভারতীয় জনতা পার্টির শেষের শুরু হয়ে গেছে। বিজেপির কফিনের শেষ পেরেকটা আগামী ১৯শে জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার বুকে পুঁততে চলেছেন। বাংলার আপামর মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হবেন। আমাদের নেত্রী আমাদের গর্ব।
আমাদের নেত্রী আজ শুধু বাংলার ১০ কোটি মানুষের নয়নের মণি নন, ১০ কোটি মানুষের মুক্তিসূর্য নয়, আজ তিনি দেশনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা যেমন ব্রিগেড সমাবেশে আসবেন, দিল্লীর আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসবেন, তামিলনাডুর এম কে স্ট্যালিন আসবেন, এছাড়া, শরদ পাওয়ার, শরদ যাদব আসবেন, শত্রুঘ্ন সিনহা আসবেন, যশোবন্ত সিনহা আসবেন, রাম জেটমালানি আসবেন, বিহারের তেজস্বী যাদব আসবেন, উত্তর প্রদেশ থেকে অখিলেশ যাদব আসবেন। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা আগামী দিন একটাই হুমকার উঠতে চলেছে মমতাদি তুম আগে বাড়ো হাম তুমহারে সাথ হ্যায়। এটাই আমাদের গর্ব।
ভারতের অনেক রাজনৈতিক দলকে ভয় দেখিয়ে বিজেপি বশ্যতা স্বীকার করিয়েছে। কিন্তু, আমাদের নেত্রী বিজেপির ধমকানি, চমকানি, চোখ রাঙ্গানির কাছে বশ্যতা স্বীকার করেননি। তৃণমূল কংগ্রেসকে যত আঘাত করবে, যত প্রহার করবে, আমাদের দলের কর্মী সমর্থকদের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ভাষা তত তীব্রতর হবে।
উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা কুৎসার জবাব দেব। আমরা সিপিএমের মত নাস্তিকও নই আবার বিজেপির মত ধর্ম বেচে রাজনীতিও আমাদের করতে হয় না। আমরা উন্নয়ন ও পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করি।
আমরা আমাদের ধর্ম বাড়িতে পালন করব। আমি একজন হিন্দু, আমি সকালে উঠে সুর্য নমস্কার করব, চান করে আমি দেব-দেবীর পুজো করব, মা কালীর আরাধণা করব, আমি গায়ত্রী মন্ত্র জপ করব। আমি ইসলামে বিশ্বাসী হলে মসজিদে গিয়ে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে পাঁচবার নামাজ পড়ব। আমি যদি খ্রীষ্টান হই, তাহলে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করব। আমি যদি বৌদ্ধ হই, তাহলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের কাছে আরাধনা করব। আমি যদি শিখ হই, তাহলে গুরুদ্বারে যাব।
আমি যখন মানুষের ভোটে নির্বাচিত তখন আমার একটাই ধর্ম – মানব ধর্ম। কে উন্নয়ন পাচ্ছে, কে গীতাঞ্জলি পাচ্ছে, কে কন্যাশ্রী পাচ্ছে, কে যুবশ্রী পাচ্ছে, কোথায় রাস্তা হয়েছে, কোথায় লাইট লেগেছে, কোথায় কলেজ হয়েছে, কে বিধবা ভাতা পাচ্ছে আমাকে সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।
ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আচ্ছে দিন আনেওয়ালে হ্যায়। বলেছিল, ভারতবর্ষের বুকে ২কোটি বেকারের চাকরি হবে, রাস্তাঘাট তৈরী হবে, সকলের অ্যাকাউন্টে ১৫লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে, কিচ্ছু দেয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কথা দিয়েছিলেন, সব অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। পরিবর্তনের চাকা যখন ঘুরেছিল, এই জেলায় আমাদের একটা অধ্যায় আছে যেটা স্বর্ণাক্ষরে আগামী কয়েক শতাব্দী লেখা থাকবে, সেটা হল ঐতিহাসিক সিঙ্গুর আন্দোলন। আমরা বলেছিলাম আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে, আমাদের সরকার দিয়েছে। আমরা বলেছিলাম, ক্ষমতায় এলে জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে, আমাদের সরকার করেছে। আমরা বলেছিলাম আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে গ্রামে গ্রামে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেবে, আমরা দিয়েছি। আমরা বলেছিলাম আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জলের সুব্যবস্থা করব, আমরা করেছি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী গত পাঁচ বছরে নিজের প্রচার করেছে ৫২৭১ কোটি টাকা ব্যয় করে। গুজরাটে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি তৈরী করেছেন ৩০০০কোটি টাকা ব্যয়ে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেছে ২০০০কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ১০০০০কটি টাকা খরচ করে, ফলাফল শূন্য।
আমাদের নেত্রী ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ঘোষণা করলেন ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্প অর্থাৎ আমি যদি একজন কৃষক হই আমার পরিবারের কেউ কৃষির সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমাদের সরকার একটা নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যা যে আপনার যদি আঠারো বছর থেকে ষাট বছরের মধ্যে আপনার স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে, তাহলে আপনার পরিবারের সদস্যদের মা-মাটি-মানুষের সরকার দু’লক্ষ টাকা চেক তুলে দেবে। এই প্রকল্পে নেত্রী ১০০০০কোটি টাকা খরচা করলেন। এরম প্রকল্প অভূতপূর্ব। এটাই বিজেপির সঙ্গে আমাদের তফাৎ।
ফসলবীমা প্রকল্পে ৮০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকার দেবে, কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ করতে হবে। গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে ৫০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকার দেয়, কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ করতে হবে। আমাদের নেত্রী বলেছেন, তোমাদের টাকাও লাগবে না, তোমাদের নামও হবে না। বাংলাকে কোনওদিন আমরা আত্মসমর্পণের পথে নিয়ে যাব না।
এই বাংলা রবীন্দ্রনাথের বাংলা, স্বামীজির বাংলা। আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৬তম জন্ম দিবস। বিশ্ববন্দিত এই সন্ন্যাসী আমাদের যা শিখিয়েছেন, তাঁর দীক্ষা, তাঁর বাণী আমাদের পথ দেখায়। ২০১৪ সালে যে স্বামীজির ফটো সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদী প্রচার করল, সেই স্বামীজিকে ন্যুনতম সম্মান বিজেপি দেয়নি।
যারা বলে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার একটি সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে, আমি তাদের বলতে চাই, আমাদের ধর্ম আমাদের শিখিয়েছে, নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল, পরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের ধর্ম কোনওদিন বিভাজনের কথা শেখায়নি। স্বামীজি বলে গেছেন, উনবিংশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে, আমাদের সমাজকে যদি বলিষ্ঠ, শক্তিশালী করতে হয়, সর্বক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীনতার প্রয়োজন। সেই স্বামিজির বাণীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কে কি খাবে, কে কি পরবে, নিদান দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা হতে পারেনা।
অর্থের বিনিময়ে অন্য রাজ্য গেরুয়া হতে পারে। কিন্তু, বাংলা কোনওদিন অর্থের বিনিময়ে গেরুয়া হবে না। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহ ও মুকুল রায়রা বলছে, ”তুমি আমাকে গদি দাও আমি তোমাকে রক্তস্নাত নদী দেব”। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলছেন? “হে বাংলা বীরযোদ্ধা মা মাটি মানুষ, তুমি আমাকে ৪২ শে ৪২ দাও, আগামীদিন দিল্লীর বুকে নতুন প্রগতিশীল শান্তিপ্রিয় ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষ ভারতবর্ষের মানুষকে আমি দেব”। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দার্জিলিং থেকে দেগঙ্গা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেভাবে উন্নয়নের কাজ করেছেন, সারা দেশে তা নজিরবিহীন। প্রফুল্ল ঘোষ, প্রফুল্ল সেন, অজয় মুখোপাধ্যায়ের মত ফুল টাইম মুখ্যমন্ত্রীদের কোনওদিন আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শন করতে দেখিনি। কোনওদিন গ্রামে গ্রামে অঞ্চলে অঞ্চলে ব্লকে ব্লকে পাড়ায় পাড়ায় এসডিও, ওসি, ডিএম, এসপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উন্নয়ন পরিদর্শন করতে দেখিনি। একমাত্র যদি কেউ করে থাকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, বিজেপি আমাদের সাথে উন্নয়নের নিরিখে লড়াই করতে পারছে না।
তৃণমূলের আবর্জনা বিজেপির রত্ন। বিজেপি খুঁজে খুঁজে কুড়িয়ে তাদের মাথায় রাখছে; এই হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আমরা যাদের বর্জন করছি, ওরা তাদেরকে গ্রহণ করছে। সমস্ত গদ্দারদের একটাই ঠিকানা, বিজেপি অর্থাৎ ভারতীয় জঞ্জাল পার্টি। এদের জেনে রাখা উচিত হার্মাদ বাহিনীদের দিয়ে খুন করে এই সরকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এই সরকার মানুষের আশির্বাদকে পাথেয় করে প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
যে গেছে যাক, যে থাকবে থাক। সাধারণ মানুষ যদি চায় আগামীদিন ৪২-এ ৪২ কেউ আটকাতে পারবে না। যত ক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ করে দেখাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীদিন ৪২-এ ৪২ করবেন, মানুষ করবে, এটা মানুষের দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে ২ লক্ষ মুকুল রায় আর ৫ লক্ষ সৌমিত্র খাঁ হবে। কিন্তু সৌমিত্র খাঁ আর মুকুল রায় চাইলে একটা শতাব্দীতেও একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরী করতে পারবে না।
আমি যে জেলাতেই গিয়েছি, সেখানে দেখেছি সকলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কর্ম যজ্ঞকে সমর্থন করেছেন। আর বিজেপি বড় বড় কথা বলছে, এই দলের সভাপতি মিটিং করে বলেছেন, আমরা বাংলায় আসছি, প্রস্তুতি হয়ে গেছে। অমিত শাহ যদি বাংলায় দাঁড়ায় তাকে হারানোর দায়িত্বটা আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। ক্ষমতা থাকলে কোথায় লড়বে আগে থেকে ঘোষণা করে দেখাও।
আমরা বৈচিত্রের মধ্যে একতার কথায় আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শিক্ষাই আমাদের শিখিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ধর্মের জন্য যা করেছেন ভারতবর্ষের বুকে সেই কাজ কেউ করে দেখাতে পারেন নি।
আজ স্বামীজির ১৫৬-তম জন্মদিবস। বেলুড় মঠের জাহাজ পরিষেবা, ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি সংরক্ষণ করে হেরিটেজ ঘোষণা, তারপীঠের উন্নয়ন, তারকেশ্বরের উন্নয়ন, দক্ষিণেশ্বরে যে স্কাইওয়াক মমতা বন্দোপাধ্যায় করেছেন। কালীঘাটে ১২৫ কোটি টাকা খরচ করে আরেকটা আন্তর্জাতিক মানের স্কাইওয়াক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে চলেছেন। গঙ্গাসাগরের আমূল পরিবর্তন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। আমরা যা বলি তা করি। আমরা ফুরফুরা শরীফের উন্নয়ন করেছি।
সবাই যদি চুপ করে থাকত, ভারতবর্ষ কোনওদিন স্বাধীন হত না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি চুপ করে থাকতেন, বাংলায় কোনওদিন পরিবর্তন হত না। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যদি চুপ করে থাকতেন আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরী করে ব্রিটিশদের ভিতকে নড়িয়ে দেওয়ার মত একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিকে আমরা খুঁজে পেতাম না। ক্ষুদিরাম বসু যদি চুপ করে থাকতেন তো আজও আমাদের ব্রিটীশদের স্তাবকতা আর দাসত্ব করে যেতে হত। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যদি চুপ করে থাকতেন, ছোটবেলায় যদি কোনও তরুণী তার স্বামী হারাত তার কোনও ভবিষ্যৎ ভারতবর্ষের মাটিতে থাকত না।স্বামী বিবেকানন্দ যদি চুপ করে থাকতেন ভারতবর্ষে হিন্দু ধর্মের নাম উচ্চারণ করার মত একজন নাগরিক আমরা খুঁজে পেতাম না। রামমোহন রায় যদি চুপ করে থাকতেন আজকে আমার বাবা বা আপনার বাবা মারা গেলে সেই চিতাতে আমাদের মাকে পুড়ে ঝলসে মরতে হত। সতীদাহ প্রথা রোধ করেছিলেন একজন বাঙালি, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি চুপ করে থাকতেন আজও সিপিএমের বন্দুকের নলের নীচে আমাদের দাসত্ব করে থাকতে হত। হাজার চেষ্টা করো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ধমকে চমকে লাভ নেই।