সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ১২, ২০১৯

বাংলায় ক্ষুদ্রশিল্প সাফল্যের সঙ্গে বেড়ে চলেছেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলায় ক্ষুদ্রশিল্প সাফল্যের সঙ্গে বেড়ে চলেছেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দুদিন ব্যাপী বঙ্গ বাণিজ্য কনক্লেভের আজ সমাপ্তি হল দীঘায়। অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী অমিত মিত্র, পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং দেশ বিদেশের শিল্পপতিদের উপস্থিতিতে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

আশা করি আপনারা এখানকার আতিথেয়তা ও সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়েছেন

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতি সপ্তাহান্তে আমরা দীঘায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব। এই অনুষ্ঠানের স্থান ও মঞ্চ তৈরি করা হবে। ওই জায়গায় নাম হবে ঢেউ সাগর।

যে ২০টি দেশ এই কনক্লেভে অংশ নিয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাই। তারা সবসময় আমাদের সহযোগিতা করেছে

সমস্ত প্রতিনিধি, কূটনীতিক, শিল্পপতি, ছোট ও মাঝারি শিল্পী, মিডিয়া, স্থানীয় প্রশাসনকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ

গত আট বছরে বাংলায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়েছে ২.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। আনুমানিক ৪০ লক্ষ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩ কোটি।

তন্তুশিল্প ও খাদি ক্ষেত্র বেড়েছে প্রায় ১৭ গুণ

চর্মশিল্পে নতুন করে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে

গ্রামীণ উদ্যোগ এবং তাঁতিদের সাহায্য করতে ত্রাণ দ্রব্য যেমন বেড শিট, শাড়ি তাদের থেকে নেওয়া হয় তন্তুজের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে আগামী তিন বছরে ২৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে, উপকৃত হবে ২০ হাজার তাঁতি।

আমরা ক্ষমতায় আসার পর খাদি দ্রব্যের উৎপাদন বেড়েছে ৩০ গুণ। আমরা ইতিমধ্যেই ৫২৮টি কর্মতীর্থ তৈরি করেছি (বেকার যুবদের জন্য সংগঠিত মার্কেটিং হাব)

ক্ষুদ্র শিল্পের মাধ্যমে বিপুল কর্মসংস্থান সম্ভব। এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব বেকারত্ব নিয়ে ভুগছে। আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক দুর্দশার ফলে বেকারত্ব চরমসীমায়।

বাংলায়, আমরা ক্ষুদ্র শিল্পে জোর দিই। এর ফলে গত আট বছরে কর্মসংস্থান তৈরী হয়েছে প্রায় ৩ কোটি যার মাধ্যমে বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। আমাদের এই বিষয়ে গভীর পরিকল্পনা আছে।

বাংলায় দেওচা পাচামির মত কয়লা খনিতে সমৃদ্ধ। এখানে ২ লক্ষ টন কয়লা মজুত আছে। এই খনি পৃথিবীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম। প্রথম দফার কাজের জন্য অনুমতি মিলেছে। খুব শীঘ্রই আমরা কাজ শুরু করব।

তাজপুর বন্দর এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনবে। পর্যটন শিল্পও উন্নতি করবে

আমাদের বাংলায় বিদ্যুতের সঙ্কট নেই। আগে মানুষের লোডশেডিং নিয়ে বিভীষিকা ছিল

আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কৃষি ও শিল্প দুটোই উন্নতি করবে। এটা নিয়ে কাউর কোনও দ্বিধা থাকা উচিৎ না। আমাদের জমি অধিগ্রহণের জন্য জমি নীতি আছে।

শান্তিপূর্ণভাবে, আশাবাদী দৃষ্টিকোণ নিয়ে ব্যাবসা করুন। ব্যাবসা করতে গেলে অনেক কর দিতে হয়। এর ওপরে আছে এজেন্সির ভয়। আপনারা ব্যাবসা করবেন কিকরে?

ম্যানেজমেন্ট-কর্মী-শ্রমিক সকলে এক পরিবার। সবাই খুশী হলে তবেই পরিবার খুশী হয় এবং ব্যাবসা ভালোভাবে চলে

কেউ বলে না বাংলায় ব্যাবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। ছোটখাট সমস্যা সব জায়গাতেই হয়, যা সহজেই সমাধান করা যায়। আমরা চাই বাংলায় ব্যাবসা বাড়ুক।

আমাদের উচিৎ নিজের রাজ্যকে ভালোবাসা। আমাদের উচিৎ নিজের দেশকে ভালোবাসা। আমাদের অতীত যাই হোক, আমরা সকলে মানুষ। মনুষ্যত্বই সাফল্যের চাবিকাঠি।