ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
নাড়াপোড়া ধরতে রিমোট সেন্সিংয়ের ভাবনা পর্ষদের

সারাদেশে ফসলের গোড়া না-পোড়ানোর সরকারি সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে চলছে নাড়াপোড়া। এমনকী, নাসার উপগ্রহ চিত্রেও হুকয়েকটি ক্ষেতে বড় আগুনের ছবি ধরা পড়েছে। ফসলের নাড়াপোড়ার দূষণ রুখতে এ বার রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে পর্ষদ।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর কাছ থেকে উপগ্রহ চিত্র নিয়ে তা বিশ্লেষণ করে কোনও নির্দিষ্ট সময়ে কোন জায়গায় চলছে নাড়াপোড়া, তা দ্রুত ধরা পড়বে। সেই তথ্য জানানো হবে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসনকে। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা হবে নাড়াপোড়া। পর্ষদের পরিকল্পনাটা এইরকমই।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বাতাসের দূষণ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিচ্ছি। তার মধ্যে নাড়াপোড়া বন্ধ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে কী ভাবে সঙ্গে সঙ্গে ধরা যাবে নাড়াপোড়ার ছবি, তার প্রশিক্ষণের জন্য দিল্লি আইআইটির সঙ্গে পর্ষদের একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। আমাদের দু’জন বিশেষজ্ঞ আইআইটির সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছ থেকে এজন্য প্রশিক্ষণ নেবেন।’
মণি স্কোয়ারে পর্ষদের অফিসে রিমোট সেন্সিং ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। লাইভ উপগ্রহ চিত্র পাওয়ার জন্য পরবর্তী পর্যায়ে ইসরোর সঙ্গে কথা বলবেন পর্ষদ আধিকারিকরা। তা নিয়ে পর্ষদ কর্তারা নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।
উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া থার্মাল ইমেজারি বিশ্লেষণ করে দেখা হবে, কোন জায়গায় খেতে নাড়াপোড়া চলছে। সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ফসলের নাড়াপোড়া বন্ধ করতে এর আগে প্রচার হয়েছে বিস্তর। ক্ষেত থেকে ফসল কাটার সময় গোড়ার অংশও যাতে উপড়ে ফেলা যায়, সে জন্য ফসল কাটার যন্ত্রে ‘বেলার’ মেশিন ব্যবহার বাড়ানোর জন্য রাজ্য উদ্যোগ নিয়েছে। চাষিরা যাতে সেই যন্ত্র বসাতে উৎসাহিত হন, সে জন্য ভর্তুকিরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি চাষিদের সচেতন করতেও প্রচার চালাবে প্রশাসন।