ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
“দেশে দ্বিতীয় জরুরি অবস্থা চলছে”, কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের

সংসদে দাঁড়িয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র বাক্যবাণে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। কেন্দ্রীয় সরকার যে ধরণের নিয়ম জারি করছে তাতে যেন মনে হচ্ছে “দেশে দ্বিতীয় জরুরি অবস্থা চলছে”, বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবারই দেশ জোড়া বিক্ষোভ উপেক্ষা করে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে আইনে পরিণত করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তারপরে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। ত্রিপুরা এবং অসমের পর এখন সিএবি বিরোধী বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে মেঘালয়েও। কিন্তু এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে যে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে দেশবিরোধী কোনও কিছু দেখানো যাবে না।
আর এই নয়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই পোড়খাওয়া সাংসদ। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে হওয়া বিক্ষোভ তথা হিংসাত্মক ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই তা ধামাচাপা দিতে ওই নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
তিনি বলেন, দেশে ২ ধরণের সংবাদমাধ্যম রয়েছে। একটি মেরুদণ্ডযুক্ত এবং অন্যটি মেরুদণ্ডহীন। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে মেরুদণ্ডযুক্ত সংবাদমাধ্যমগুলির মুখ বন্ধ করতে। সমালোচনা শুনতে পারে না মোদি সরকার, এমন অভিযোগও করেন ওই তৃণমূল সাংসদ।
সাংসদ আরও বলেন, কেউ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাঁকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কেউ নোটবন্দির বিরোধিতা করলে তাঁকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এনআরসির বিরোধিতা করতে তাঁকে দেশদ্রোহী বলা হচ্ছে। এমনকি নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও প্রতিবাদকারী দেশদ্রোহী হয়ে যাচ্ছেন। সত্যিই কি বিরোধিতা করা মানেই দেশের বিরুদ্ধে কথা বলা, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা?,
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেরেক ও’