সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ৫, ২০১৯

কেন্দ্রের নীতিতে মানুষ আজ আতঙ্কিত: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন্দ্রের নীতিতে মানুষ আজ আতঙ্কিত: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ ইনফোকম ২০১৯ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্যে একদিকে যেমন তিনি কেন্দ্রের নীতির সমালোচনা করেন, সেরকমই বাংলার অগ্রগতির চিত্রটিও তুলে ধরেন।

ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:

আইটি সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রজন্মের যুবকদের কাছে আধুনিকীকরণের অন্যতম মাধ্যম হল ইন্টারনেট। এটা ডেটা সায়েন্স এর যুগ।

কেন্দ্রের ব্যাঙ্কের নীতিতে মানুষ আজ আতঙ্কিত। ব্যাঙ্কের ভূমিকা কি তা কেউ জানে না। এমনকি জীবন বীমা কোম্পানিও জানে না তাদের ভবিষ্যৎ কি। জনগণ তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য ব্যাঙ্কে, এলআইসি-তে টাকা জমান। কিন্তু তারাও জানে না তাদের টাকা সুরক্ষিত থাকবে কিনা।

শিল্পক্ষেত্রে আজ ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বেকারত্ব ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এমএসএমই-কেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেক শিল্পপতিরা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

সবচেয়ে জ্বলন্ত সমস্যা জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি। ১২০টাকা কেজি পিঁয়াজ! এতেও ওদের কোনও হেলদোল নেই।

আমাদের নীতি কোনও ভেদাভেদ নয়। আমরা কাজ করি একতা, শান্তি, সম্প্রীতির জন্য। এটাই আমাদের ভারত। দেশের ঐক্য ভেঙে হিন্দু-মুসলমান ভাগাভাগি করে কোনও লাভ হয় না।

নোটবন্দির নামে সকলের টাকা কেড়ে নেওয়ার ফন্দি। প্রতিবাদ করলে সিবিআই, ইডি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাহুল বাজাজের সাহস আছে তাই তিনি প্রতিবাদ করেছেন।

শিল্পপতিদের প্রত্যেকটা ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাদের কন্ট্রোল করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রের এইসব বেনিয়মের জন্য দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। মহারাষ্ট্র, বাংলা সহ ভারতের সব জায়গায় সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছে।

এই অবস্থায় আমি মনে করি বাংলা ভালো করছে। সারা দেশে বেকারত্ব বাড়লেও বাংলায় বেকারত্ব কমেছে। আমাদের উদ্দেশ্য সমাজের গরিব মানুষের জন্য কাজ করা।

তথ্য বলছে এমএসএমই-তে আমরা এক নম্বরে। বাংলায় ৯০লক্ষ এমএসএমই-র ইউনিট আছে। ৩৬লক্ষের বেশি মানুষ এর সাথে নিযুক্ত।

দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে শিল্পপতিরা বাংলায় চর্মশিল্পের জন্য বিনিয়োগ করছেন। স্কিল ডেভেলপমেন্টে আমরা এক নম্বরে। এই বাংলায় ৩০০ পলেটেকনিক ও আইটিআই কলেজ আছে।

রাজারহাটে আইটি শিল্পের জন্য ২ হাজার একর জমি আমরা দিয়েছি। আবার সিলিকন হাবের জন্য ১০০ একর জমি দেওয়া হচ্ছে। নতুন ৭টা আইটি পার্ক আমরা তৈরি করে ফেলেছি।

আমাদের ল্যান্ড ব্যাঙ্ক আছে। আমাদের এমএসএমই, টুরিজম, বিভিন্ন ইন্সেন্টিভ পলিসি সহ সবক্ষেত্রে পলিসি আছে।

কেন্দ্রীয় সরকার রেল, এয়ারইন্ডিয়া, বিএসএনএল বেচে দিতে চায়, ব্যাঙ্কগুলো মার্জ করে দিয়েছে, ইন্স্যুরেন্সের ব্যাপারে আমি আতঙ্কিত।

আমি ইনফোকম-এর কাছে অনুরোধ করব বাংলায় বিনিয়োগ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যুবকযুবতীরা উৎসাহিত করবেন।