ডিসেম্বর ৬, ২০১৯
দেশের অর্থনীতির চরম দুরবস্থা, সরব মুখ্যমন্ত্রী

প্রত্যেক বছরের মতোই আজ মেয়ো রোডে সংহতি দিবস পালন করে তৃণমূল। প্রধান বক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্যে তিনি দেশের অর্থনীতির চরম দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত খাদ্যদ্রব্যের লাগামহীন দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরব হন দিদি।
তিনি বলেন, “পেঁয়াজের দাম কিলো প্রতি ১৪০ টাকা । শুধু সারাদিন হিন্দুস্থান-পাকিস্থান করলে মানুষ পেঁয়াজ পাবে তো? ভারতবর্ষের অর্থমন্ত্রী হাউসে দাঁড়িয়ে বলছেন আমি তো পেঁয়াজে খাই না। আশ্চর্য একটা সরকার চলছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কার সাবজেক্ট? সেন্ট্রাল সাবজেক্ট দ্রব্যমুল্য।”
তিনি আরও বলেন, “কয়েকমাস আগে রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল আমাদের কত পেঁয়াজ লাগবে। আমরা বলেছিলাম ২০০ মেট্রিক টন প্রতি সপ্তাহ। দিয়েছে ২০ মেট্রিক টন আর তার মধ্যে ১০ মেট্রিক টন পচা। কেন্দ্র মনে করে বাংলা রাজ্যটা খরচার খাতায়। ওরা চায় বাংলার মানুষ কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াবে না। পেঁয়াজ সরকারকে আমদানি করতে হয়। কেন উদ্যোগ নেয় নি? এর আগেও বামফ্রন্ট সরকার, কংগ্রেস সরকারও উদ্যোগ নেয় নি। আমাদের উদ্যোগে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদে পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে।”
ওনার কথায়, “ভারতবর্ষ অর্থনীতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আগামীদিন দেউলিয়া হয়ে যাবে। আর দেশ যদি দেউলিয়া হয় মানুষও দেউলিয়া হবে এটা মনে রাখবেন। দেশ ভাল থাকলে আপনিও ভাল থাকবেন।”
দিদি আরও বলেন, “ভারতের অর্থনীতি সর্বনাশ হয়ে গেছে। ঘরে বা ব্যাঙ্কে টাকা আজ সুরক্ষিত নয়। ঘরে টাকা রাখলে নোটবন্দির নামে হানা দেবে আরা ব্যঙ্কে ১ লাখের উপর টাকা রাখলেও সেটার গ্যারিন্টি দিতে পারছে না।”