সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯

বাংলার উন্নয়নের রেখাচিত্র ঊর্ধ্বমুখী: অমিত মিত্র

বাংলার উন্নয়নের রেখাচিত্র ঊর্ধ্বমুখী: অমিত মিত্র

অর্থনীতির নানা সূচকে বাংলার উন্নয়নের রেখাচিত্র ঊর্ধ্বমুখী, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান। ইকো পার্কে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল গারমেন্ট ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সম্প্রতি বিদেশী সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিনিধি এসেছিলেন। তাঁকে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দিয়েই দেখালাম, অর্থনীতির আঙিনায় বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে। দিল্লিরই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় জিডিপি বৃদ্ধির হার ১২.৫৮ শতাংশ। এই জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও আড়াই শতাংশ বাড়তে পারে।’

দারিদ্রের হার হ্রাসেও বাংলার অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো বলেন তিনি। এ দিন তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। সে ক্ষেত্রে বস্ত্রশিল্প যে অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে, তা-ও মন্ত্রী বলেন।

অর্থমন্ত্রীর কথায়, ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বস্ত্রশিল্পে ৫০ লক্ষ মানুষ জড়িত। ধরা যাক মেটিয়াবুরুজের কথা। সেখানে বস্ত্রশিল্প খাতে উৎপাদন বছরে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি হাজার কোটি টাকা। আবার হস্তচালিত তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ।’

রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং বস্ত্র দপ্তরেরও দায়িত্বে অমিত মিত্র। তাঁর কথায়, ‘আপনারা ২০২৩-এর মধ্যে উৎপাদন এক লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যান। ইতিমধ্যেই দু’টি আর্ন্তজাতিক সংস্থা কলকাতায় অফিস খুলেছে। তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর বস্ত্র কিনছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনাদের উৎপাদন বাড়াতেই হবে। ব্যাঙ্কগুলি থেকে ২০১৯-২০ সালে রাজ্যে বস্ত্রশিল্পের জন্য যে ৭০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে, তার মধ্যে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, নুঙ্গিতে ১১ লক্ষ বর্গ ফুটের বিশাল গারমেন্ট পার্ক তৈরীর কাজ চলছে। এতে রাজ্যের বিনিয়োগ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি মেটিয়াবুরুজের প্রায় এক হাজার ইউনিটও অংশ নেবে। নুঙ্গির পাশাপাশি জগদীশপুর, অঙ্কুরহাটি, মহিষবাথান, বারাসতে রিজেন্টস গারমেন্ট পার্কগুলি রাজ্যে বস্ত্রশিল্পে নয়া মাত্রা দিচ্ছে বলে তাঁর দাবী।