ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে জুলাই পর্যন্ত রাজ্য খরচ করেছে ৬৭৭ কোটি টাকা

মেয়ের বিয়ের অনুদানের জন্য ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে রাজ্য সরকার গত জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় ৬৭৭ কোটি টাকা খরচ করেছে। অনুদান দেওয়া হয়েছে মোট ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৮১ জনকে। রাজ্য বিধানসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। তারপর ওই বছরের এপ্রিল থেকে প্রকল্পটি চালু হয় রাজ্যে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে বিয়ের জন্য ১৮ বছর বা তার বেশী বয়সী মেয়েদের রাজ্য সরকার এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়।
বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেছিলেন, ছ’ লক্ষ পরিবার এই প্রকল্পে উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা রাখা হয়।
বিধানসভায় পেশ করা মন্ত্রীর জবাব থেকে জানা যাচ্ছে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত কন্যাশ্রী প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ৬৭৭ কোটি ৮ লক্ষ ১৭ হাজার ১২০ টাকা।
মোট ২ লক্ষ ৬৮ হাজার সুবিধাপ্রাপকের মধ্যে সব থেকে বেশী সংখ্যক রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। ওই জেলা থেকে ৩৫ হাজার ৭০৯ জন রূপশ্রী প্রকল্পে অনুদান পেয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২২ হাজার ৪১২ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৮ হাজার ৬১৪ জন, বাঁকুড়ায় ১৫ হাজার ২৩৬ জন, হুগলিতে ১৪ হাজার ৭৭১ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪ হাজার ৭০৬ জন এবং পুরুলিয়ায় ১৩ হাজার ২৮৪ জন রূপশ্রীর অনুদান পেয়েছেন। কলকাতায় এই সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা ৪,৪০৭ জন। দার্জিলিং জেলায় ৫৬৭ এবং কালিম্পং জেলায় ৪৯৪ জন এই অনুদান পেয়েছেন।
এই প্রকল্পে সাহায্য পেতে বিয়ের আগে নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হবে। বিয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে কার্ড, বিয়ে নথিভুক্ত করার নোটিস বা স্বঘোষণা করলেই হবে। যে পাত্র বিয়ে করছেন, তাঁর বয়স ২১ বছর বা তার বেশী, তার প্রমাণ নথি হিসেবে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমার পর সরকারি আধিকারিকরা বাড়িতে গিয়ে এবিষয়ে খোঁজখবর করেন। আবেদনে লেখা তথ্য সঠিক হলে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। বিয়ের আগেই মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা চলে যায়।
সৌজন্যেঃ বর্তমান