সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯

এজেন্সি দিয়ে সবাইকে চুপ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দেশের সংবিধান রক্ষার লক্ষ্যে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল সন্ধেবেলা থেকে তিনি ধর্নায় বসেছেন। ধরনের দ্বিতীয় দিনে তিনি আজ সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

ভারতবর্ষকে যিনি ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ, হত্যা, অত্যাচার ও সন্ত্রাস করছেন তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন

ভারতবর্ষ চিরকালই মানবিক, ভারতের সম্প্রীতি, সংহতি, ঐক্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা সর্বোপরি গণতন্ত্র প্রিয় মানুষকে আইনের কায়দায় মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, সম্পত্তির অধিকার, বাক-স্বাধিনতার অধিকার ও বিশেষ করে আমাদের যত ইনডিভিজুয়াল অফিসাররা তারা যাতে ইম্পারশিয়ালি কাজ করতে পারে সেই জন্য সেভ ইন্ডিয়া ব্যানারে কাজ করছি। এখানে পলিটিকাল কোন ইস্যু নেই। সকলের ওপর টর্চার হচ্ছে।

আমরা সবসময় বলি আইনে আইনের পথে চলবে। আমরা আইন কে সবাই মানি, আইনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কেউ যদি বেআইনি কাজ করে গনতন্ত্রের মেইন পিলারগুলোকে ধ্বংস করে দেয় তাহলে গনতান্ত্রিক ভাবধারায় গনতন্ত্রই মূল্যহীন হয়ে পড়ে।

এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমাদের এই আন্দোলন চলছে। এটা কোন ছোট ব্যাপার নয়। হিমাচল থেকে কন্যাকুমারিকা, বিন্ধ্য পর্বত থেকে দ্বারকা, বাংলা থেকে আসাম, আসাম থেকে উড়িষ্যা, চেন্নাই, অন্ধ্র, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, কাশ্মীর সকলেই এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে, প্রতিটি রাজনৈতিক দল যারা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে বিশ্বাস করে তারা সমর্থন করেছেন, আমারা তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।

এটা আমাদের একার লড়াই নয়, এটা কালেকটিভ লড়াই। আমি আশা করব গণতন্ত্র যেন তাঁর নিজের পথে চলে, আইন যেন আইনের পথে চলে।

মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে নেওয়ার নামে যদি কথা বলতে না দেওয়া হয়, যদি গণতান্ত্রিক ভাবধারায় মানুষকে কথা বলতে দেওয়া না হয়, বিচারব্যবস্থাকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু কেউ যদি মনে করে সেখানেও হস্তক্ষেপ করবে, এজেন্সি দিয়ে সবাইকে চুপ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে , এই জিনিস কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। কারো সাথে কারো আদর্শগত বিরোধ হতেই পারে

বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধিতা করা মানেই তার পিছনে এজেন্সি লাগিয়ে দেওয়া, তাকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া, তাঁকে শত্রু বলা, বিরোধিতা করা মানেই তিনি দেশপ্রেমিক নয়। এক ঘৃণ্য কায়দায় মানুষের মনে ঘৃণা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

সরকারি কাজকর্মের কোন অবহেলা বা ক্ষতি হবে না, কাজ করেই আমরা অন্য কাজ করি। কর্মযজ্ঞ ও মানুষের অধিকারের লড়াই উভয়ই চলবে।

সারাক্ষণ ক্ষমতা হারানোর ভয়, তাই অপারেশন শুরু হয়েছে বিরোধীদের শেষ করার জন্য। তাদের বিরুদ্ধে এই সত্যাগ্রহ আন্দোলন চলছে, চলবে।

ভারতকে রক্ষার জন্য এই সত্যাগ্রহ আন্দোলন চলবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কারণ, ৮ তারিখের পর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু তাই তখন কোন মাইক্রোফোন ব্যবহার করা চলবে না। আপনারা সকলে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করুন, কোনরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না

ফাইল চিত্র