ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
ধান সংরক্ষণে দুই নয়া প্রকল্প চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী

ধান সংরক্ষণ ও বহনের জন্য দুটি নয়া প্রকল্প চালু হল বাংলায়। কালনার অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামের সভায় পলি গোলা ও পলি চাতাল নামে কৃষকবান্ধব এই জোড়া প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের কৃষি–অধ্যুষিত ৫ জেলা পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও জলপাইগুড়ির ১০ জনের হাতে এই দুই প্রকল্পের কাগজ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক হয়েছে প্রাথমিকভাবে এই ৫ জেলায় পাইলট প্রকল্প গড়ে ২৬ হাজার প্রান্তিক কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ৭৫০ জন উপভোক্তা পলি গোলা ও ৯১০০ জনকে পলি চাতাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি রূপায়িত হচ্ছে। পেট্রো–কেমিক্যাল সংস্থার সাহায্যে এগুলি তৈরী হয়েছে। একটি পলি গোলার দাম ৫৫০ টাকা আর পলি চাতালের দাম প্রায় ৩ হাজার টাকা। গোলাগুলিতে ৫০০ কেজি পর্যন্ত ধান রাখা যাবে। চাতালটি ৪৮ বর্গমিটারের। আর এর সবথেকে বেশি সুবিধে হল, ইঁদুরে ধান খাওয়ার আশঙ্কা থাকছে না।
প্রসঙ্গত, শস্য সংরক্ষণের জন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই ‘আমার গোলা, আমার ফসল’ প্রকল্প চালু আছে। সেই প্রকল্পে ধান শুকনোর জন্য চাতাল তৈরীতে আর্থিক সহায়তা করে রাজ্য সরকার। নতুন এই গোলা বা চাতাল বহনযোগ্য হওয়ায় সুবিধেও খুব বলে দাবি করছেন উপভোক্তারা। জমি বা স্থায়ী চাতাল তৈরীর ঝক্কি থাকবে না। কাজ শেষ হলে গুটিয়ে রাখা যাবে। এই দুই প্রকল্পে আর্থিক দিক থেকে উপকৃত হবেন প্রান্তিক কৃষকেরা।
সৌজন্যেঃ আজকাল