সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ৫, ২০১৮

আমাদের রাজ্যে সবাই ভালো থাকুক; এটা মা-মাটি-মানুষের রাজ্যঃ

আমাদের রাজ্যে সবাই ভালো থাকুক; এটা মা-মাটি-মানুষের রাজ্যঃ

আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাজকুলে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। নতুন জেলার মানুষদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই জেলার উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

  • সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছ জানাচ্ছি।
  • আমরা চাই ছেলেদের সাথে সাথে মেয়েরাও সমাজের ওপরে উঠে আসুক।
  • মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর, মাতঙ্গিনীহাজরা, ক্ষুদিরামের জন্মভূমি, এই জেলার ঐতিহ্য অনেক।
  • আমি মেদিনীপুর, হেরিয়া, পটাশপুর, এগরা, পাঁশকুড়ার ঘটনাকে ভুলে যাইনি। খেজুরিতে আমাদের কর্মী সুজাতাকে কিভাবে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছিল আমরা ভুলিনি। চন্ডীপুরে আমাকে আটকে রেখেছিলো, ওরা আসিড বাল্ব নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমাকে কোলাঘাটে বাঁশ দিয়ে আটকে রেখেছিলো, অজস্র গালাগালি, গাড়ি ঘেরাও – নানাভাবে অত্যাচার করেছে।
  • আমাকে চমকালে আমি গর্জাই, আমি আন্দোলন করতে ভালোবাসি। তখন আমাদের রাজ্যপাল (গোপাল গান্ধী) কাউকে দিয়ে আমাকে মেসেজ করে জানিয়েছিলেন যে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হবে, তারপরেও আমি কোলাঘাট যাই। সারা রাত অবরোধ। নন্দীগ্রামে ঢুকতে দেবে না বলে আমাদের অনেক অত্যাচার করেছিল কিন্তু সব পেরিয়ে আমি নন্দীগ্রাম ঢুকেছিলাম। অনেক মানুষকে আমরা বাঁচাতে পারিনি, অনেকে খুন হয়েছেন, মেরে তাদের হলদি নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেকে নিখোঁজ কেউ ফিরে আসেনি।
  • আমরা নেতাইয়ের ঘটনা ভুলবো না, পর পর ৭ জনকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল, আর মেয়েদের দাসী বানানো হয়েছিল। ছোট আঙারিয়াতে, বেনেপুকুরে খুন করে দেওয়ালে ডেডবডি পুঁতে রেখেছে। অনেকেই এখনও জানেন না। এইসব অত্যাচার বাংলা ভুলে যায়নি।
  • ৬ মাসের বাচ্চাকে বাবার কোল থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে, আমতার কান্দুয়াতে মানুষের হাত কেটে দিয়েছে, দাসপুরে আমাদের কর্মীদের চোখ উপড়ে নিয়েছে কারণ তারা পোস্টের লিখছিলো। ১৯ জন আনন্দমার্গীকে বিজ্ঞ সেতুর ওপর জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। প্রতি বছর জঙ্গলমহলে ৪০০ লোক খুন হত।
  • সিপিএমের হার্মাদদের অত্যাচারের হাত থেকে আমরা বাংলাকে বাঁচিয়েছি। সেই হার্মাদরা এখন বিজেপিতে নাম লিখিয়ে ওস্তাদ হয়েছে, ওদের লজ্জা করে না।
  • নন্দীগ্রামে যে খুনের নেতৃত্ব দিয়েছিলো সে কোন পার্টি করে? নামটা আমি বলতে চাই না। তৃণমূল কংগ্রেসে কোন হার্মাদের জায়গা নেই। কপালেশ্বর, কেলেঘাই তে যখন গ্রামগুলি বন্যায় ভেসে যেত তখন বাবুরা কোথায় ছিলেন? শুধু বড় বড় কথা
  • এখানে তমলুকে গান্ধীজির নামে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, মেডিকেল কলেজ হয়েছে। দীঘায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কনভেশনশন সেন্টার, বিশ্ব বাংলা কেন্দ্র হয়েছে, রাস্তাঘাট, পলিটেকনিক কলেজ, আই টি আই, মাল্টি সুপার হাসপাতাল, খাদ্য উৎপাদন কেন্দ্র সব হয়েছে। ১১০০ কোটি টাকার জলের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কোলাঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে।
  • ঘাটাল মাস্টার প্রকল্প কিছুতেই করছে না কেন্দ্র, এটা হয়ে গেলে আর বন্যা হবে না।
  • দীঘা সৈকত নতুন রূপে সেজেছে। কাঁথিতে ১২০শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরী করা হচ্ছে।
  • দীঘা তমলুক রেলপথ দীর্ঘদিনের দাবী ছিল। আমি দীঘা তমলুক রেললাইন ন’মাসে করে দিয়ে গেছিলাম। বাজকুলের মানুষ এই পথে যুক্ত হয়েছেন।
  • নন্দীগ্রাম পর্যন্ত লাইন করে দেওয়া হয়েছিল। এরা সেটা ফেলে রেখে দিয়েছে। আমরা কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে, এই কাজ করে দেব।
  • তাজপুরে গভীর বন্দর হচ্ছে। হাজার হাজার কর্মসংস্থান হবে। শিল্প বাড়বে।
  • এখানে প্রায় ২০টা কর্মতীর্থ হয়েছে। আরও সাতটা হচ্ছে।
  • সাতটা কিষাণ মান্ডি তৈরী হয়েছে। হিমঘর তৈরী হয়েছে। ময়নাকে মাছ চাষের মডেল হিসেবে তৈরী করা হচ্ছে। সারা বাংলায়ও হবে।
  • গরীব মানুষকে বিনা পয়সায় হাঁস, মুর্গী, ছাগল দেওয়া হচ্ছে। মুর্গীর পোল্ট্রির মত হাঁসের পোলট্রি শুরু করতে চাই। ইচ্ছুক ব্যাক্তিরা বিডিও, পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
  • কন্যাশ্রীর মেয়েরা আগে ৭৫০টাকা পেত, এখন ১০০০টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। ১৮বছর বয়েস হলে বিয়ে না করে পড়াশোনা চালানোর জন্য ২৫০০০টাকা করে পাবে।
  • কে-৩ তে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলে কলা বিভাগে পড়লে ২০০০টাকা করে স্কলারশিপ, বিজ্ঞান পড়লে ২৫০০টাকা করে স্কলারশিপ পাবে কন্যাশ্রীর মেয়েরা।
  • ইতিমধ্যেই ৫০লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী। আগামী দিন এর সংখ্যা অনেক বাড়বে। কারণ, এখন থেকে সব মেয়েরাই কন্যাশ্রী।
  • পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর তপশিলি জাতি ও উপজাতির পড়ুয়াদের শিক্ষাশ্রী দেওয়া হচ্ছে।
  • ১কোটি ৭০লক্ষ সংখ্যালঘু পড়ুয়া স্কলারশিপ পেয়েছে।
  • প্রায় ৭৫লক্ষ তপশিলি জাতি ও উপজাতির পড়ুয়ারা স্কলারশিপ পেয়েছে।
  • কেন্দুপাতা সংগ্রাহকদের সুরক্ষা প্রকল্পে আনা হয়েছে।
  • একটি শিশু জন্মালেই গাছ দেওয়া হচ্ছে, সেই গাছটি শিশুটির সঙ্গে সঙ্গে বড় হবে। এক সময় সেই গাছটির বয়েস হবে ২লক্ষ টাকা। সেই শিশুটির তখন ওই টাকা কাজে লাগবে।
  • ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কম যেসব পরিবারের আয়, তাঁদের রুপশ্রী প্রকল্পে মেয়ের বিয়ের জন্য সরকারকে আবেদন করলেই, সরকার ২৫০০০টাকা অনুদান দেবে।
  • সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে যে কোনও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষ প্রতি মাসে ২৫ টাকা দেবে, সরকার ৩০ টাকা দেবে। ৬০ বছর বয়েস হলে সরকার ১৫০০ টাকা পেনশন দেবে, বছরে ৬০০০টাকা দেবে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য এবং এককালীন ২ লক্ষ টাকা দেবে। ৬০ বছরের আগে কারোর স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ৫০০০০ টাকা এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। লোকপ্রসার শিল্পীরাও এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন।
  • লোকপ্রসার শিল্পীদের মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। এছাড়া, সরকারি সব প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে তাঁদের কাজে লাগানো হয়। সেখানেও টাকা দেওয়া হয়।
  • সাংবাদিকদের চিকিৎসার জন্য মাভৈ প্রকল্প করা হয়েছে। অবসর নেওয়ার পর পেনশনের প্রকল্পও করা হয়েছে।
    চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মী, ক্যাজুয়াল, আইসিডিএস কর্মী, আশা কর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার সকলের অবসরের বয়েস ৬০ বছর করে দেওয়া হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পেও আনা হয়েছে।
  • আইসিডিএস কর্মীদের আগে কেন্দ্র সরকার ৯০ শতাংশ বেতন দিত। এখন সেটাও মাত্র ৩০ শতাংশ দেয়। তার জন্যেও রাজ্য সরকারকে ১০০০টাকা করে বেশী দিতে হয়। আশা কর্মীদেরও ১০০০টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
  • সিভিক ভলেন্টিয়াররা আগে ৩০০০ টাকা পেত, এখন ৮০০০ টাকা পায়। প্যারাটিচারদেরও বেতন বাড়ানো হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদেরও বেতন বাড়ানো হয়েছে।
  • প্রাণীমিত্ররা বামফ্রন্ট আমলে মাসে ৪০০ টাকা পেত, এখন ১৫০০ টাকা দেওয়া হয়।
  • আমাদের সরকার ২ টাকা কিলো চাল দেয়। আমাদের রাজ্যে প্রায় ৮ কোটি মানুষ ২ টাকা কিলো চাল পায়। প্রতি কিলোতে সরকারকে প্রায় ২৩ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়।
  • সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়। বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ৫লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প করা হয়েছে। বাচ্চাদের মিড ডে মিল, ষ্টীলের থালা, গ্লাস দেওয়া হয়। আইসিডিএসএ মায়েদের বিনামূল্যে চিকিৎসা।
  • কোনও মা গর্ভবতী হলেই আগামী এক বছর অতিরিক্ত ৬০০০টাকা পায়।
  • মহিলাদের ৭৩১দিন মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা হয়েছে। সন্তানের বাবাও ১মাস পিতৃত্বকালীন ছুটি পান।
  • কোনও গরীব মানুষ মারা গেলে, তার পরিবার সৎকার করতে আর্থিক ভাবে অসমর্থ হলে, সরকার সেই পরিবারকে সমব্যাথী প্রকল্পে ২০০০টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্প দেশের আর কোথাও নেই।
  • ১ কোটি ছেলে মেয়েকে সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে।
  • বাংলার মানুষ সংস্কৃতিপ্রবণ মানুষ, বাংলার মানুষ মানবিক মানুষ, বাংলার মানুষ সভ্যতর সমাজের মানুষ।
    কৃষি জমির খাজনা আমাদের সরকার মুকুব করে দিয়েছে। কৃষি জমির মিউটেশন ফিও আমাদের সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
  • বন্যা হলে বা খরা হলে, কৃষকদের পাশে আমরা গিয়ে দাঁড়াই। ৩০লক্ষ কৃষক পরিবারকে আমরা সাহায্য করেছি ১২০০ কোটি টাকা। কৃষকরা যাতে কৃষি যন্ত্র সহজে পেতে পারেন, সেজন্য আমরা কাস্টম হায়ারিং সেন্টার খুলে যন্ত্রপাতি কিনে দিই।
  • আলু চাষিদের সাহায্য করার জন্য আমরা সরকার থেকে টাকা দিচ্ছি।
  • চাল উৎপাদকরা আগের বছর পর্যন্ত ক্যুইন্টাল প্রতি ১৫৫০টাকা পেতেন, এবছর সেটা বাড়িয়ে ১৭৫০টাকা করা হয়েছে।
  • আগের সরকারের আমলে শিক্ষকরা সময়মত মাইনে পেতেন না, এখন সকলে ১তারিখে মাইনে পান।
  • ৬লক্ষ ছেলেমেয়েকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আগামী দুবছরে আরও ১২লক্ষ ছেলেমেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
  • বিভিন্ন ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। সরকারি কর্মচারী নিয়োগ করা হচ্ছে। ১লক্ষ সিভিক ভলেন্টিয়ার নেওয়া হচ্ছে।
  • সব রাজ্যের মানুষ নোটবন্দীর ফলে অসহায় হয়ে গেছে।
  • কত মানুষ কাজ হারিয়ে ফিরে এসেছে। অনেক মানুষ গুজরাটে কাজ করত, তাদের মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা কাউকে মারিনা।
  • অসম থেকে বাঙালী খেঁদাও করছে, গুজরাট থেকে বিহারী খেঁদাও করছে। অসমে যে ৪০লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ২৩ লক্ষ বাঙালী হিন্দু।
  • কোথায় ছিল বিজেপি? বিজেপি কবে জন্মেছে? হঠাত এখন হিন্দু হিন্দু করছে। দুর্গাপুজো করা কি বিজেপি শিখিয়েছে? কালীপুজো করা কি বিজেপি শিখিয়েছে? ঈদ পালন করা কি বিজেপি শিখিয়েছে? মারাঙ্গুরু পুজো করা কি বিজেপি শিখিয়েছে? হাজার হাজার বছর ধরে হিন্দু ধর্ম ছিল।
  • বেদ, রামায়ন, মহাভারত, গীতা, বাইবেল, কোরান, গ্রন্থসাহেব সব ছিল হাজার হাজার বছর ধরে ছিল।
  • এক সময় খেতে পেত না, আজ কোটি কোটি টাকা দিয়ে লোককে ভয় দেখাচ্ছে আর রাবণ যাত্রা করে বেড়াচ্ছে।
    সকলকে তার নাম, ধর্ম, জাত, গোত্র জিজ্ঞেস করছে। মনে হচ্ছে কেউ যেন এসব জিজ্ঞেস করার দায়িত্ব দিয়েছে।
    দলিতদের হনুমান বলছে, সংখ্যালঘুদের খুন করছে, হিন্দুদের তাড়িয়ে দিচ্ছে, খৃস্টানদের ওপর অত্যাচার করছে। যে পুলিশ একটা কেসের তদন্ত করছিল, তাকেও খুন করে দিচ্ছে। আমাদের পুর সহমর্মিতা আছে তার প্রতি। একের পর এক ফেক এনকাউন্টার করে খুন করেছে।
  • বিজেপির সকলে একেক জন ডাকাত সর্দার। শুধু ভাষণে মাস্টার। ১২০০০ কৃষক বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেন আত্মহত্যা করল? কেন সব ধর্মের মানুষকে সম্মান দেননা? কেন লোক খুন করেন? কেন দাঙ্গা করেন? কেন সন্ত্রাস করেন? কেন আগুন লাগান?
  • আমায় আঘাত করলে, আমি প্রত্যাঘাত করি। আমরা ৩৪ বছর অনেক আন্দোলন করেছি। অনেক আন্দোলন করে বাংলা থেকে সিপিএমকে তাড়িয়েছি। আজ যে সিপিএম গুলো বিজেপিতে গিয়ে জুটেছে তাদেরও বলি আগামী দিনে আমরা তোমাদেরও বাংলা থেকে রাজনৈতিক ভাবে তাড়াব। আর বাংলায় হার্মাদ জন্মাতে দেব না।
    মানুষ ভালো আছে বলে ওদের হিংসে হচ্ছে।
  • পঞ্চায়েতের লোকরা দেখবে গ্রামের মানুষ যেন ঠিক ওজনের ২টাকা কিলো চাল পায়। সকলে যেন সব ভাতা ঠিকমত পায়।
  • আমরা ৪০লক্ষ মোট বাড়ি গরীব মানুষদের জন্য তৈরী করে দিয়েছি। আগামী দিনে আরও করে দেব।
  • আমাদের ৪৮,০০০ কোটি টাকা দেনা শোধ করতে হয় মাসে। ধার করে এই টাকা শোধ দিতে হয়। , তাও তো আজকে আমাদের বাংলা দ-টাকা কিলো চাল পায়, প্রায় বিনা মুল্যে চিকিৎসা পায়, কত গরীব মানুষ ঘর পায়। প্রায় ৯০% লোক কোন না কোন সরকারী প্রকল্পের পরিষেবা পায়।
  • আমরা এই কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এই জেলায় নতুন রাস্তা হচ্ছে, ব্রীজ তৈরি হচ্ছে, এতে করে অনেক পর্যটক আসবে। আমি চাই আপনাদের ছেলেমেয়েদের এখান থেকে বাইরে গিয়ে কাজ করার কোন দরকার নেই, কারণ এখানে এত কাজ তৈরি হচ্ছে। আমরা মন্দারমনীতে বাড়িতে বাড়িতে হোম-স্টে করে দিচ্ছি, তাতে করে আপনারা ঘরে বসেই রোজগার করতে পারবেন।
  • আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি। বাজকুলের থেকে ১০ কিমি দূরে একটা চালের গোডাউন হচ্ছে। সুতরাং, যত কাজ হচ্ছে, আরও কাজ হোক। আপনারা সবাই ভাল করে কাজ করুন, সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করুন তবে এই জেলায় সোনা ফলবে।
  • আজকে কণ্যাশ্রীর মেয়েরা অকাল বিবাহ রুখে দেয়, অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করে, ওদের ক্লাব তৈরি হয়েছে, আর আমি চাই আগামীদেইনে কণ্যাশ্রীর মেয়েরা সারা পৃথিবী-র সামনে দৃষ্টান্ত হবে, কারণ ওরা মাথা নিচু করবে না, সমাজ, রাজ্য, দেশ গড়ে তুলবে।
  • আমার সবুজ সাথীদের বলতে চাই যে বাংলা প্রথম জায়গা যেখানে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সবার জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা হয়েছে যা কোথাও নেই। এখানে জেনারেল কাস্ট-র লোকেরাও সব রকম সুবিধা পায়। সব ধর্মকে ভালোবাসতে হবে।
  • অনেক শিল্প বাংলায় তৈরি হচ্ছে, তাজপুরে বন্দর তৈরি হবে, তাতে এই জেলা আরও উন্নত হবে।
    মেয়েদের আরও এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে, তাদের আরও কাজ করতে হবে, সমাজ গড়তে হবে। যে সমাজে মায়েরা নেই, সেই সমাজ এগোতে পারে না।
  • যার যা ধর্ম নিজের কাছে, উৎসব সবার। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।আজকে জাতের নামে যারা বজ্জাতি করছে, তারা না জানে হিন্দু ধর্ম, না জানে ইসলাম ধর্ম না জানে অন্য কোন ধর্ম। ওরা শুধু দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে, ব্যাঙ্ক লুটে নিয়েছে, কৃষকদের শেষ করে দিয়েছে।শুধু এদের দাঙ্গা করার মত নিয়ে সমাজকে শেষ করে দিতে চায়। এরা মানুষ তৈরি করতে পারে না, অমানুষ তৈরি করে। আমরা বলি মানুষ তৈরি কর। আমাদের রাজ্যে সবাই ভালো থাকুক।
  • গ্রাম বাংলা আমাদের প্রাণ।শহরে থাকলেও গ্রামকে আমরা ভালবাসি কারণ আমাদের প্রত্যেকের একটা করে গ্রামে ঠিকানা আছে। এবং সেটা হচ্ছে আমার মা-মাটি-মানুষ যা আমাদের চলতে শিখিয়েছে।
  • আমার কণ্যাশ্রীর মেয়েদের কাছে জানতে চাইছি, বিশ্বশ্রী হতে হবে তো, ডাক্তার তৈরি হতে হবে। আমাদের ডাক্তারের অভাব আছে। সবাইকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে, কোন জিনিস খারাপ নয়, কোন কাজ খারাপ নয়। যে কাজ করে না, তার মন ভাল থাকে না, কুড়ে হয়ে যায়। অলস মস্তিষ্ক হচ্ছে শয়তানের কারখানা। খারাপ চিন্তা করলে হৃদয়টাও খারাপ হয়ে যায়। শরীর যখন আছে তখন মাঝে মাঝে খারাপও হতে পারে, কিন্তু কাজের মধ্যে থাকলে শরীর ভালো থাকবে।
  • ভালো থাকুন, ভালো মনে থাকুন। মা আপনাদের সকলকে ভালো থাকুন। আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকবেন, জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম, খোদা হাফিজ, জয় জোহার।