ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
ল্যাবরেটরি চালু করে অঙ্কের প্রতি ভয় কাটাতে চায় রাজ্য

অঙ্ক মানেই পড়ুয়াদের কাছে ভয়ের অন্ত নেই। ক্লাসে শিক্ষকরা যতই সহজ করে অ্যালজেব্রা কিংবা জ্যামিতি বোঝান না কেন, পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের কাছে অঙ্ক যেন এক দুঃস্বপ্নের মতো। কিন্তু সেই দিন এবার শেষ হতে চলেছে। জলের মতো করে অঙ্ক বুঝে নিতে রাজ্যে এই প্রথম তৈরী হল গণিতের ল্যাবরেটরি। স্টেট কাউন্সিল অব এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটি) অফিসে তৈরী করা হয়েছে এই বিশেষ ল্যাবরেটরি। তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের অনুদান দিয়েই বানানো হয়েছে এটি।
সাধারণভাবে বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরি হয় বলেই সবাই জানে। কিন্তু অঙ্কের এমন ল্যাবরেটরি তৈরী করে একপ্রকার নজিরই গড়ল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এই ল্যাবরেটরি প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়ারা ব্যবহার করতে পারবে।
জ্যামিতিতে ব্যবহৃত চাঁদা, কম্পাস, স্কেলের কাঠের মডেল তৈরী করে রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে চতুর্ভুজ, ত্রিকোণের মডেল। যোগ-বিয়োগ বোঝার জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া গণিতজ্ঞদের ছবি সাজানো হয়েছে ওই ঘরে। মুখে মুখে অঙ্ক কীভাবে মিনিটের মধ্যে করা যায়, তার জন্য একাধিক মডেল রাখা হয়েছে।
এই ল্যাবরেটরি তৈরীর জন্য বড় রকমের জায়গা বা পরিকাঠামোর প্রয়োজন নেই বলেই জানান বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, একটি ক্লাসরুমে একটি টেবিলই যথেষ্ট। তার উপর এই সব মডেল রেখে পড়ুয়াদের বোঝানোর কাজ করা যেতে পারে। তবে স্কুলগুলি যদি সেটাও করতে সমস্যায় পড়ে, তাহলে অসুবিধার কিছু নেই। তারা এসসিইআরটি’র এই ল্যাবরেটরি ব্যবহার করতেই পারবে।
ল্যাবরেটরির সঙ্গে একটি বইও তৈরী করা হয়েছে। তাতে এই ল্যাবরেটরির ব্যবহার এবং বোঝানোর বিষয়টি রাখা হয়েছে। কী করে এমন ল্যাবরেটরি তৈরী করা যায়, তার জন্য বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউিট অব এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (ডায়েট)-এর দু’জন করে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ঝাড়গ্রামের একলব্য মডেল স্কুলে তা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সৌজন্যেঃ বর্তমান