ডিসেম্বর ২, ২০১৮
সাফল্যের জের, এবার রাজ্যে নতুন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কন্যাশ্রী

কন্যাশ্রী প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সাফল্যের মুকুটে এখন অন্যতম পালক। স্কুলছুট বন্ধের লক্ষ্যে তৈরী এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা বর্তমানে গ্রহণ করছে প্রায় ৫০ লক্ষ ছাত্রী। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফেও সামাজিক সুরক্ষার এই প্রকল্পকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের জন্য রাজ্যে দ্বিতীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তার নাম কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই মত বিধানসভায় একটি বিলও পেশ হয়েছে।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের নারী শক্তির বিকাশের জন্য বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এই কারণেই তাঁর মাথা থেকেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের পরিকল্পনা বেরিয়েছিল প্রথম। সেই প্রকল্পের সাফল্য এখন গোটা দেশের কাছে ঈর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। অর্থ বরাদ্দ ও অংশগ্রহণের মাপকাঠিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পকে হার মানিয়েছে কন্যাশ্রী। সবচেয়ে বড় কথা, গরিব পরিবারের ছাত্রীদের স্কুলছুট হওয়ার পথ অনেকটা রোখা সম্ভব হয়েছে এই প্রকল্পের হাত ধরে। পাশাপাশি বাল্য বিবাহও বহু ক্ষেত্রে আটকানো গিয়েছে কন্যাশ্রী প্রাপ্ত মেয়েদের সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে।
এইসব বিষয় বিবেচনা করেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে দ্বিতীয় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর উপর জোর দেন। তাঁর নির্দেশ মেনেই এবার কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজে নামতে চাইছে দপ্তর। নদীয়া জেলার কোনও জায়গায় এটি তৈরীর কথা ভেবেছে দপ্তর।
কন্যাশ্রীর পাশাপাশি মতুয়া সম্প্রদায়ের মন রাখতে প্রতিশ্রুতি মতো উত্তর ২৪ পরগনায় আরও একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করতেও উদ্যোগী হয়েছে শিক্ষাদপ্তর। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মতুয়া সম্প্রদায়ের নমস্য দুই ব্যক্তিত্ব হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদের নামে রাখা হবে।