সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮

ভাঙনপ্রবণ ৭টি এলাকায় অত্যাধুনিক বাঁধ নির্মাণ করছে সেচদপ্তর

ভাঙনপ্রবণ ৭টি এলাকায় অত্যাধুনিক বাঁধ নির্মাণ করছে সেচদপ্তর

যে সমস্ত নদী বাঁধ প্রতিবছর বেশী ভাঙে সেখানে ‘কজ-ওয়ে’-এর ধাঁচে নতুন করে বাঁধ তৈরী করবে সেচ দপ্তর। ইতিমধ্যেই আমতা-২ ব্লকে এইরকম একটি ৫০মিটার বাঁধ তৈরী করা হয়েছে। তবে সাধারন বাঁধের তুলনায় এই বাঁধ তৈরীর খরচ অনেক বেশী। ভাঙনপ্রবণ এলাকায় এই বাঁধ তৈরী হলে এলাকার ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমবে।

সেচমন্ত্রী বলেন, বন্যায় যাতে বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার মানুষের ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো আমরা বাঁধগুলির পর্যালোচনা করছি। যেখানে দুর্বল বাঁধ আছে, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির বাঁধ তৈরী করব।

এই বাঁধগুলি নদীর প্রান্তের দিকে এমনভাবে ঢালু রাখা হয়েছে, যাতে জল ধাক্কা দিয়ে ফের বেরিয়ে যেতে পারে। বাঁধগুলি কংক্রিটের হওয়ার ফলে সেটি ভাঙার আশঙ্কা অনেক কম। আবার নদীর জলস্তর অনেকখানি বেশী হয়ে গেলে তা বাঁধ অতিক্রম করে ঢুকলেও বড় ক্ষতি হবে না। এই বাঁধের ফলে চাষের জমির ক্ষতি যেমন হবে না, তেমনই বাড়ি ভাঙার আশঙ্কা নেই। বাঁধের গায়ে ছোট ছোট পিলার তৈরী করা হয়েছে। এর ফলে জলস্তর কতটা রয়েছে, তাও সহজে বোঝা যাবে। বাঁধের যা উচ্চতা রাখা হয়েছে, তা টপকে জল ঢোকার আশঙ্কা অনেক কম। আর জলের স্তর খুব বাড়লেও সামান্য পরিমাণ জলই ঢুকবে বাঁধ পেরিয়ে।

আগামী বর্ষার আগেই কয়েকটি বাঁধের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সৌজন্যেঃ বর্তমান