ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করতে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা

প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নেতৃত্বে এই কাজ করা হবে। তার জন্য একটি কমিটি গঠন হয়েছে। এই কমিটিই ঠিক করবে একটি ‘এন্টারপ্রেনিওরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে প্লাস্টিক বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদানে পরিণত করার একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগের রূপরেখা ঠিক করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। পুরসভা এই প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তাও দেবে। হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের কাছেও আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য চাওয়া হবে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র।
শুধু তাই নয়, কলকাতাকে প্রকৃত অর্থে ‘গ্রিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে জঞ্জাল অপসারণ থেকে শুরু করে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা উদ্যোগের কথা এদিন জানিয়েছেন মেয়র। মেয়র বলেন, ই-বর্জ্যর সঠিক ব্যবস্থাপনার পরিকাঠামো ও প্রযুক্তি আমাদের এখানে নেই। খারাপ হয়ে যাওয়া কম্পিউটার সেট, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ই-বর্জ্যের আওতায় পড়ে। এখনই পরিবেশের জন্য নতুন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে এই ধরনের বর্জ্য। এগুলির মধ্যে থাকা নানা রাসায়নিক মাটি ও জলের ব্যাপক ক্ষতি করে ও বিষাক্ত করে তোলে পরিবেশ। মেয়র এদিন বলেন, এইসব ই-বর্জ্য আমাদের এখান থেকে অন্যান্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভিতরের পদার্থগুলিকে আলাদা করা হয়। তারপর সেই ই-বর্জ্যে থাকা প্লাস্টিক অন্য কোনও কাজে লাগানো হয়। আমাদের বিশেষজ্ঞরা জেনে আসবেন ওই প্রযুক্তি। এন্টাপ্রেনিওরশিপের মাধ্যমে তা আমাদের এখানেই চালু করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে ধাপার যে অংশে শহরের ময়লা, আবর্জনা ফেলা হয়, তার ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছে আগেই। তাই শহরের আবর্জনা ফেলার জন্য রাজারহাটে ২০ একর জমি পুরসভাকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই জমিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু করে দেওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা হবে বলেন তিনি।
পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য বলেন, পুরসভার নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গা বা সাফাইকর্মীদের গাড়িতে আবর্জনা না ফেলে রাস্তাঘাটে ফেললে স্পট ফাইন করা হবে। বারবার বলার পরও কোনও নাগরিক যদি দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেন, সেক্ষেত্রে এবার কড়া হবে কলকাতা পুরসভা। তিনি আরও বলেন, সকালবেলায় যে সাফাইকর্মীরা হাতে ঠেলা গাড়ি নিয়ে আবর্জনা তুলতে যান, সেই গাড়িগুলির সবকটিকেই ধীরে ধীরে ব্যাটারিচালিত গাড়িতে বদলে ফেলা হবে।
সৌজন্যেঃ বর্তমান