সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮

কিষাণ দিবস - কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে মা-মাটি-মানুষের সরকার

কিষাণ দিবস - কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে মা-মাটি-মানুষের সরকার

আজ কিষাণ দিবস। গত সাত বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার কৃষকদের সুবিধার্থে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে।

এক নজরে দেখে নিন কৃষকদের জন্য কি কি কাজ করেছে মা-মাটি-মানুষের সরকার:

রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহায়তার ফলে কৃষকদের গড় বার্ষিক আয় বেড়েছে তিনগুণেরও বেশী। ২০১০-১১ সালে কৃষকদের গড় বার্ষিক আয় ছিল ৯১,০০০ টাকা যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।

৬৯ লক্ষ কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।

কৃষি জমির খাজনা মুকুব করা হয়েছে। কৃষি জমির মিউটেশন ফিও মুকুব করা হয়েছে।

বাংলার কৃষকদের বাংলা ফসল বীমা যোজনার বিনামূল্যে আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

কৃষকদের মাসিক বার্ধক্য ভাতা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি, উপভোক্তার সংখ্যা বাড়িয়ে ১ লক্ষ করা হয়েছে।

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শহীদ কৃষকদের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ই মার্চ কৃষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কৃষকদের যে কোনও রকম ভর্তুকি সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হচ্ছে ২০১২ সাল থেকে।

গত সাত বছরে ৭৪ লক্ষ কৃষককে হাতে কলমে আধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

২০১২-১৩ সাল থেকে ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে ৩.৭ লক্ষ কৃষককে ৩৮৫.৯ কোটি টাকার ট্র্যাক্টর, পাওয়ার টিলার, পাম্প সেট, রিপার বিতরণ করা হয়েছে।

২০১৪-১৫ সাল থেকে ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে ৯৬৫টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার খোলা হয়েছে, যেখানে সরকারি ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ শতাংশ।

সরকারের আপতকালিন তহবিল থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫৮.৫১ লক্ষ কৃষককে ২৩৭২.৫৬ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

২০১৩-১৪ সাল থেকে কৃষকদের সুবিধার জন্য ‘মাটির কথা কৃষকের কথা’ নামক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হয়েছে।

ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশন তৈরী করা হয়েছে।

কৃষি সংক্রান্ত তথ্য দিতে এবং সরকারি প্রকল্পের সম্বন্ধে কৃষকদের অবগত করতে রাজ্যের ১৯৫৬টি ব্লক, ৯৬টি মহকুমা, ১৭টি জেলায় কৃষি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

রাজ্য স্তরের মাটি উৎসবে ২০০৩ কৃষককে কৃষক রত্ন পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে, ৩৪০ জনকে কৃষক সম্মান ও ২১ জনকে মাটি সম্মান দেওয়া হয়েছে।

রেডিওতে ‘আমরা চাষ করি আনন্দে’ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়েছে।

২০১৭-১৮ সালে ৬৮.৫৮ লক্ষ কৃষককে হাঁস মুর্গী প্রতিপালন করতে দেওয়া হয়েছে।

১৬.৮৩ লক্ষ কৃষককে পশু প্রতিপালনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।