সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮

গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের বিমা পাঁচ লক্ষ টাকা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের বিমা পাঁচ লক্ষ টাকা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গঙ্গাসাগরের তীর্থযাত্রীদের জন্য মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে বীমার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকের পরে সেই কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনই চাই না কিছু দুর্ঘটনা ঘটুক। কিন্তু অনেক সময় কিছু দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তাই আমরা ঠিক করেছি, ৭ই থেকে ১৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত তীর্থযাত্রীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে বীমা করা হবে। ২০ লক্ষ মানুষকে জলপথে পারাপার করতে হবে। যা কুম্ভমেলাতেও হয় না। রেল, বাস ও জলপথে পারাপার করাতে হয়। আমরা চার বছর ধরে ব্রীজ করতে বলছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা করেনি।

এদিকে, মেলার দেখভালের জন্য এদিন ১০ জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৩ই জানুয়ারি থেকে ১৫ই জানুয়ারি মন্ত্রীরা রীতিমতো ক্যাম্প করে থাকবেন। ২৬ তারিখ প্রস্তুতি দেখতে গঙ্গাসাগরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। থাকবেন ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে থাকবেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী, বিদ্যুৎমন্ত্রী, পূর্তমন্ত্রী এবং রাজ্যসভার সাংসদ। কচুবেড়িয়াতে থাকবেন আরও তিন মন্ত্রী। আট নম্বর লটে থাকবেন আরও তিন মন্ত্রী। এছাড়াও কলকাতায় থাকবেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী। বাবুঘাটে ৭ই জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগরগামী তীর্থযাত্রীরা আসতে থাকেন। তাঁদের দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন কলকাতার মেয়র।

এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিংয়ের কাজ সম্পর্কে খোঁজ নেন। সেচসচিব বলেন, ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া চ্যানেল ১-এ ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ৭ই জানুয়ারির মধ্যে সেই কাজ শেষ করতে হবে। কাজের অগ্রগতি নিয়ে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট করতে সেচসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, গতবারের থেকে ৩০ শতাংশ বেশী বাস থাকবে। এদিনের বৈঠকে মেলার সঙ্গে যুক্ত সব মন্ত্রী, তাঁদের দপ্তরের প্রধানসচিব, রাজ্য পুলিসকর্তারা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ ও প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একইরকমভাবে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কলকাতা পুরসভায় প্রস্তুতি মিটিং করেন মেয়র। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য বাবুঘাটে দুটি এটিএম বসানো হবে। এর জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে চিঠিও লেখেন মেয়র। তীর্থযাত্রীদের জামাকাপড় রাখার সুবিধার জন্য একটি ক্লোক রুম তৈরী করা হবে। আর পানীয় জলের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য টিউবওয়েলও বসানো হবে বলে এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে।