অক্টোবর ৪, ২০১৮
পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে আর্থিক স্বনির্ভরতায় দিশা দেখাচ্ছে ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ ও ‘বনরাজা’

পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে আর্থিক স্বনির্ভরতায় দিশা দেখাচ্ছে ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ ও ‘বনরাজা’। এই দুই প্রজাতির মুর্গী ও ছাগল পালন করে লাভের মুখ দেখছে জেলায় জেলায় বহু পরিবার। রাজ্য সরকার নিখরচায় মুর্গীর ছানা ও ছাগলের বাচ্চা দিচ্ছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রসার হচ্ছে। বাড়ছে কর্মসংস্থান। ন্যাশানাল ডেয়ারি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে মুর্গী ও ছাগল পালনের মাধ্যমে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের বিনপুর, বীরভূম, সুন্দরবনে আদিবাসী উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রাজ্যের ছটি জেলায় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রাণী পালনের মাধ্যমে জীবন জীবিকার উন্নয়নে প্রকল্প চলছে। হাঁস-মুর্গী, ছাগল ও শুকর পালনের মাধ্যমে কিভাবে আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া যায়, তা নিয়ে আয়োজিত হয়েছে কর্মশালা।
প্রাণীদের বিভিন্ন টিকা দেওয়া ছাড়াও তাদের খাবার উৎপাদন, পরিচর্যা সম্পর্কে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারি তরফে। প্রত্যেককে চারটি করে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, ২০টি করে বনরাজা মুর্গী, ৩টি করে ঘুংড়ু শুকর দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৮৩জনকে ও পরে ২৪৬জনকে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর আরও দুটি জেলা নথিভুক্ত হবে।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের অনুকূল আবহাওয়া আছে এই রাজ্যে। বছরে দুবার ও প্রতিবার এক থেকে পাঁচটি বাচ্চার জন্ম দেয় এই ছাগল। কৃত্রিম প্রজননেও জোর দেওয়া হচ্ছে। তৈরী হচ্ছে হিমায়িত ছাগ বীজ। খাবারের জন্য ঘাস চাস করা হচ্ছে।
সৌজন্যেঃ বর্তমান