ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
তুলাইপাঞ্জি চালের উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

রায়গঞ্জের তুলাইপাঞ্জি চালের বিশ্বজোড়া খ্যাতি। তাই তুলাইপাঞ্জি চাষে পরীক্ষামূলকভাবে প্যাডি ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের ব্যবহার করেছে কৃষি দপ্তর। প্রথম দফায় হেমতাবাদে সুগন্ধি চালের ফলনও বেড়েছে প্রায় কুড়ি শতাংশ। আগামী বছর উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন অংশে তুলাইপাঞ্জি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কৃষি দফতর। নরম, ধবধবে সাদা। চটপট রান্না। অসম্ভব সুন্দর গন্ধ। রায়গঞ্জের তুলাইপাঞ্জি চালের চাহিদা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছেছে বিদেশের বাজারে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার আদি ধানগুলোর মধ্যে অন্যতম তুলাইপাঞ্জি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্র্যান্ডিং শুরু করার পর তুলাইপাঞ্জির উৎপাদন কয়েক গুণ বেড়েছে। জেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ মরশুমে উত্তর দিনাজপুরে ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি জাতের উৎপাদন হয়েছিল। পরের মরশুমে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টরে। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ মরশুমে উত্তর দিনাজপুরে ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি জাতের ধান উৎপাদন হয়েছে। সে হিসাবে তিন বছরে এ জেলায় নতুন করে ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি উৎপাদন হয়েছে।
তুলাইপাঞ্জি চালের উৎপাদনও বাড়ছে। ২০১৫-১৬ মরশুমে এ জাতের চাল উৎপাদন হয়েছিল ১০ হাজার ১২০ টন। পরের মরশুমে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৮৮০ টনে। ২০১৭-১৮ মরশুমে উত্তর দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৭৪০ টন তুলাইপাঞ্জি চাল উৎপাদন হয়। জেলার রানীগঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও করনদীঘিতে সবচেয়ে বেশি তুলাইপাঞ্জি চাল উৎপাদন হয়।
বর্তমানে পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের চাষীরাও এ চাল উৎপাদন শুরু করেছেন। তুলাইপাঞ্জি উত্তর দিনাজপুরের চাষীদের নিজস্ব সুঘ্রাণযুক্ত চালের জাত। ঘ্রাণ বাসমতির মতো হলেও আকারে তুলনামূলক ছোট। এ চালের ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ শ্বেতসার। প্রোটিন রয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।