সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮

ওজন বৃদ্ধি ঠেকাতে পাঠ স্কুলে

ওজন বৃদ্ধি ঠেকাতে পাঠ স্কুলে

স্থুলতা যাকে ইংরাজিতে বলে ওবেসিটি। এই মারাত্মক উপসর্গে ভুগছে সারা বিশ্ব। জীবন দুর্বিষহ করে দিচ্ছে বিশেষত শিশু ও তরুণ প্রজন্মের। বাংলাও এর বাইরে নয়। কীভাবে এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, একেবারে হাতে কলমে রাজ্যের স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠ দেওয়া হবে।

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের শেখানো হবে ওবেসিটি থেকে মুক্তির পথ। বিষয়টিকে সিলেবাসে আটকে না রেখে ছাত্র শিক্ষক কর্মীদের ওজন বাড়ছে কিনা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা বা মধুমেহ ছোবল বসিয়েছে কি না জানতে এবার প্রত্যেক স্কুলকে প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনার টাকা দেবে রাজ্য সরকার।

রক্তচাপ মাপতে দরকার স্ফিগমোম্যানোমিটার এবং স্টেথোস্কোপ। শরীরে বাড়তি মেদ মাপার জন্য দরকার ক্যালিপার। মধুমেহ পরীক্ষা করতে দরকার গ্লূকোমিটার।

প্রাথমিক স্কুলগুলিকে তিন হাজার, উচ্চপ্রাথমিকে সাত হাজার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিকে ১০হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বরাদ্দ পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া এই যন্ত্রও ব্যবহারের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। বিভিন্ন জেলায় কয়েকটি ভাগে চিকিৎসকরা শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ দেবেন।

স্কুলপাঠ্যে পড়ানো হবে মোটা হওয়া কারণ বংশগত নয়, খাদ্যাভ্যাস এর কারণ। শরীরচর্চার প্রতি অবহেলাও মানুষের মেদ বাড়ায়। আর ওজন বাড়লে সারাদিন ক্লান্তি, হৃদরোগ, কিডনির অসুখ, বাত, ডায়াবেটিস বা মধুমেহ, উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ সহ নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।

ওজন বাড়া রুখতে খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার ওপর জোর দেবেন শিক্ষকরা। শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রথমে নিজেদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিক পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে হবে। সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের পরিবেশ আলাদা। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেও এসব কথা শেখানো হবে।

উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ‘স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা’ বইতে বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ‘শিক্ষণ সামর্থ্য ও মূল্যায়ন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ পুস্তিকা’ পাঠিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পড়ানোর সময় শিক্ষকদের পাঁচটি ক-এর ওপর নজর দিতে বলা হয়েছে। কাকে, কোথায়, কেন, কখন, কীভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে তা খেয়াল রাখার নির্দেশ দিচ্ছে সরকার।