ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
বিকল্প চাষে উৎসাহ দিতে লক্ষ্য ডাল, নয়া পদক্ষেপ রাজ্যে

বিকল্প চাষে উৎসাহ দিতে ডালশস্য চাষের ক্ষেত্র বাড়াচ্ছে কৃষি দপ্তর। ডালশস্য ভাঙানোর পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরী করে চাষিদের আরও উৎসাহিত করতে খড়গপুর আইআইটি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা বলেন, আমাদের রাজ্যে ডালমিল তৈরী করতে খড়গপুর আইআইটি-র সঙ্গে টাই-আপ করা হয়েছে। তারা প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ডাল মিল গড়ার জন্য যেখানে যেমন প্রয়োজন সেই অনুযায়ী মেশিন সরবরাহ করবে কৃষি দপ্তর। স্বয়ম্ভরগোষ্ঠীকে সেই যন্ত্র দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। ফলে ডালশস্যর খোসা ছাড়ানো বা ডাল ভাঙানোর জন্য ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।
বর্ধমানে মাটি উৎসবের প্রস্তুতি বৈঠকে এসে বিকল্প চাষের কথা জানিয়েছেন মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডালশস্যের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম। ভিন রাজ্য থেকে তা আমদানি করতে হয়। দামও অনেকটা বেশী পড়ে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ডালশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলায় কৃষি দপ্তরের তরফে ডাল চাষের ক্ষেত্র বাড়ানো হয়েছে গত দুই বছরে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২০১৬ সালে ১২ হাজার হেক্টরেরও কম জমিতে ডাল শস্য চাষ হত। বর্তমানে তা বেড়ে ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশী হয়েছে। চাষীদের বিনামূল্যে ডালশস্য বীজ সরবরাহ করেছে কৃষি দপ্তর। কিন্তু ডাল শস্য উৎপাদনের পর তা কাটা, ঝাড়াই করা ও ভাঙানো নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় চাষিদের। অনেক সময় তা করাতে গিয়ে খরচ অনেকটাই বাড়ে। ডালমিলের অভাবে তা বিক্রী করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় চাষিদের।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা দিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকেই ডাল শস্য ভাঙানোর জন্য ডাল মিলের গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওইবছর ডাল ভাঙানোর ৮টি মেশিন বসানোর অনুমোদন মেলে। তা করা হয়েছে।
সৌজন্যেঃ প্রতিদিন