ডিসেম্বর ২, ২০১৮
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ১৮টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হল

ভেনেজুয়েলা, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, পেরু, ব্রাজিল সহ মোট ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ জানালেন অর্থমন্ত্রী। ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতির উপস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে বাংলার সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। গত সাত বছরে বাংলায় যে বিপুল শিল্পায়নের প্রসার ঘটেছে, তা সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন মন্ত্রী। গোটা দেশের জিডিপি রেট বা সার্বিক উন্নয়ন যখন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে, তখন বাংলা একক প্রচেষ্টায় শিল্পায়নে শীর্ষে পৌঁছেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে ব্যাবসায়িক সম্পর্কে জড়িত হতে চাই। শিল্পায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট প্ল্যান অফ অ্যাকশন তৈরী করেছি। আপনাদের সঙ্গে এই বিষয়ে সংযোগ করতে চাই। আমাদের মধ্যে আগামীদিনে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন গড়ে উঠুক। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসুন। গতবছর ৫০০জন বিদেশী বাণিজ্যিক অতিথি এসেছেন সম্মেলনে। এই বছর জার্মানির ডুসেলডর্ফ থেকে মন্ত্রী সহ ৫০জন বিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধি দল আসছে। কোরিয়ার গভর্নর আসছেন। ইতালি থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দল আসছে। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আমি আপনাদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপ্নারাও আসুন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের দেশের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু, চিন্তা নেই বাংলা আছে। ২০১৪ সালে ৪৬বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছিল ভারত। সেখান থেকে বর্তমানে বহু শতাংশ ব্যবসার পরিমাণ কমে এসেছে। এক সময় ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৪৭শতাংশ। ৯হাজার স্কোয়ারফিট ইউনিট গড়ে উঠেছে বাংলায় বস্ত্র ব্যবসার জন্য। ৩০ হাজার ব্যবসায়ী সেখানে ব্যবসা করতে পারবেন। ৪০ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছে টিসিএস। বাংলার ক্যাম্পাস বেঙ্গালুরুর থেকেও বড়। কগনিজেন্ট আরও ২০হাজার কর্মী নিয়োগ করবে। এইচএসবিসির প্রধান কার্যালয় করেছে বাংলায়। ২৩হাজার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরী করা হয়েছে। টাটা মেটালিক্স বাংলায় আরও বিনিয়োগ করছেন। বড় শিল্পের সঙ্গে অনুসারি শিল্পও এসেছে বাংলায়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। বাংলার রেট অফ গ্রোথ দেশের থেকে বেশী। ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ৮গুণেরও বেশী। দক্ষিণ আমেরিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছচ্ছে মূলত নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কন্যাশ্রী প্রকল্পে ১২০০কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ৫০লক্ষ মেয়েরা এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছে। আমাদের রাজ্যে ৩০শতাংশ সংখ্যালঘু বাস করে। দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের অধিকাংশই তাঁরা তৈরী করে।