সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ৮, ২০১৮

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুনরুজ্জীবিত ডোকরা শিল্প

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুনরুজ্জীবিত ডোকরা শিল্প

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাংলার ঐতিহ্যশালী ডোকরা শিল্প পেয়েছে নতুন প্রাণের ছোঁয়া। বাংলার এই হস্তশিল্প দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃতি পাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই বাংলার হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সাত বছরে ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প দপ্তর এবং পর্যটন দপ্তরের তরফে বাংলার হস্তশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

বাঁকুড়া জেলার বিকনা সারা রাজ্যে মূলত ডোকরা গ্রাম বলেই পরিচিত। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডোকরা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এই গ্রামের মানুষজন। মূলত মেটাল কাস্টিং-এর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে প্রস্তুত হয় একটি সম্পুর্ণ কাজ। ঘর সাজানোর জিনিসের বাইরেও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করে ডোকরা শিল্প আবার রীতিমতো আশা জাগাচ্ছে গ্রামীণ কর্মসংস্থানে। মাঝে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে ছিলেন ডোকরা শিল্পীরা। কিন্তু বিশ্ব বাংলার বিপণি থেকে শুরু করে বিদেশেও রপ্তানির মাধ্যমে বাঁকুড়ার এই বিকনা গ্রামই এখন আবার স্বয়ংসম্পুর্ণ।

ডোকরা থেকে শিল্পসামগ্রী তৈরী করা একটি দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি। প্রথমে মোমের ওপর নকশা তোলা হয়, এরপর দেওয়া হয় বালি এবং মাটির আস্তরণ। দু’ধরনের স্তর থাকে। প্রথমে লোনা মাটি, এরপর দ্বিতীয় স্তরে লোটা মাটি। তারপর পিতল গলিয়ে সেটি একটি ছিদ্র দিয়ে ঢেলে দেওয়া হয় মাটির ছাঁচে। তারপর মাটির ছাঁচটিকে বিশেষ পদ্ধতিতে ভেঙে দিয়ে পিতলের মূল শিল্পটি বের করে আনা হয়। যেহেতু অল্প পরিমাণ পিতল গলিয়ে এখন কাজ করা যাচ্ছে তাই বৈচিত্র অনেক বেশি হচ্ছে। নানা ধরনের গয়না, ঘর সাজানোর সামগ্রী মিলছে।

বিশ্ববাংলা বিপণি থেকে শুরু করে বিদেশেও পাড়ি জমাচ্ছে বাংলার ডোকরা। পরিবেশবান্ধব ডোকরা শিল্প বাংলার অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তিও বটে।