সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ১২, ২০১৮

কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা ৩ মাস আগেই ছুঁতে চলেছে রাজ্য

কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা ৩ মাস আগেই ছুঁতে চলেছে রাজ্য

১০০ দিনের কাজে শ্রমদিবস তৈরীতে তিন মাস আগেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শ্রমদিবস তৈরীতে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ২৫ কোটি।

গত ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রমদিবস তৈরী হয়েছে ২৩ কোটি ২২ লক্ষ ৮৭ হাজার। এ মাসের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ২৫ কোটি ছুঁয়ে যাবে বলে মনে করছে পঞ্চায়েত দপ্তর। তাই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৩১ কোটি করার জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাবে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর।

গত আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক শ্রমদিবস তৈরীতে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল ২৩ কোটি। তাকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩১ কোটি ২৫ লক্ষ। বর্তমান আর্থিক বছর ২০১৮-১৯-এর জন্য লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ২৫ কোটি। যা ইতিমধ্যে ছুঁয়ে ফেলবেন ১০০ দিনের কাজে যুক্ত শ্রমিকরা। গত আর্থিক বছরে গড় কাজের দিন ছিল ৬০। ডিসেম্বর মাসেই তা দাঁড়িয়েছে ৫৯। বর্তমান আর্থিক বছরে গতবারের কাজের দিনকে ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকরা।

গত আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজে খরচ হয়েছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। উপকৃত হয়েছিল ৫২ লক্ষ পরিবার। বর্তমান আর্থিক বছরে এদিন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে ৬৪০২ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। বাকি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী তিন মাসে আরও টাকা খরচ হবে। গত কয়েক বছরের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে বর্তমান বছরের ১০০ দিনের কাজ। এদিন পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজে ৪৯ লক্ষ ৫৩ হাজার পরিবার যুক্ত আছে।

গত কয়েক বছর ধরেই ১০০ দিনের কাজে বাংলা প্রথম স্থানে রয়েছে। এ রাজ্যে ১০০ দিনের প্রকল্পে শুধু রাস্তা তৈরী, পুকুর কাটা, খাল খনন, কালভার্ট তৈরীতে জব কার্ড হোল্ডারদের কাজে লাগানো হচ্ছে না। নানা ধরনের নতুন কাজ করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পে কাজের বৈচিত্র্য নিয়ে আসা হয়েছে। যা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ভালো করে খতিয়ে দেখে অন্য রাজ্যকে বাংলাকে মডেল করতে বলেছে। ইতিমধ্যে অন্য রাজ্য থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের অফিসাররা এ রাজ্যে এসে কাজের বৈচিত্র্য দেখে গিয়েছেন। কী কী ধরনের কাজ হচ্ছে তার তালিকা এবং কীভাবে করা যায় তার তালিকাও করে নিয়ে গিয়েছেন। যা তাঁদের রাজ্যে চালু করবেন। সবমিলিয়ে ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের অগ্রগতি প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা।

সৌজন্যেঃ বর্তমান