ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
সাগরমেলায় বাঁশের ব্যারিকেডের জায়গায় এবার প্রথম লোহার বেড়া বসাচ্ছে প্রশাসন

দুর্ঘটনার মোকাবিলা ও তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবার আরও তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এবার প্রথম গঙ্গাসাগর মেলার সময় কাকদ্বীপ থেকে সাগরদ্বীপে বাঁশের পরিবর্তে লোহার ব্যারিকেড করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জোর কদমে তার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। দু’দিন ধরে কাকদ্বীপ, কচুবেড়িয়া, চেমাগুড়ি, বেণুবন ও কপিলমুনির মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সেই লোহার বেড়া বসানোর কাজ সরজমিনে ঘুরে দেখলেন জেলাশাসক। তাঁর সঙ্গে তিন অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মেলা আধিকারিক সহ পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন।
বিশেষ করে স্নানের দিনগুলিতে এত বছর কাকদ্বীপ, নামখানা থেকে কচুবেড়িয়া ও চেমাগুড়ি ভেসেলে যাতায়াতের জন্য লাখ লাখ মানুষের চাপ সামাল দিত বাঁশের ব্যারিকেড। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ ও নির্দেশমতো এবার একটি কমিটি তৈরী করা হয়। সেখানে কাকদ্বীপ পুলিস সুপার, বিধায়ক, মন্ত্রী, কাকদ্বীপ মহকুমা শাসক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছাড়াও মেলার সঙ্গে যুক্ত পূর্ত, সেচ, পরিবহণের আধিকারিকদের রাখা হয়েছে। সেই কমিটির সুপারিশও ছিল লোহার ব্যারিকেড নিয়ে। সেই সুপারিশ জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্য সচিবের কাছে পাঠানো হয়। তার ভিত্তিতে সব মিলিয়ে ২৪ কিলোমিটার জুড়ে এই ব্যারিকেড হচ্ছে।
জেলাশাসক বলেন, সাগরতটের ১ নম্বর ঘাট থেকে স্নান করে কপিলমুনির মন্দিরে যাওয়ার জন্য অনেকটা লম্বা বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হত। এবার তা সরিয়ে লোহার করা হচ্ছে। কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট থেকে কাকদ্বীপ লট-৮ এর জেটি পর্যন্ত করা হবে। এছাড়াও সাগরদ্বীপের কচুবেড়িয়ার ১ থেকে ৫ নম্বর জেটিঘাট, চেমাগুড়ি, বেণুবন জেটিঘাটেও তা করা হচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ শেষ হয়ে যাবে। কচুবেড়িয়া ও কপিলমুনি বাসস্ট্যান্ড উভয় দিকে দু’ কিলোমিটার চার লেনের কাজও শেষের মুখে।
সৌজন্যেঃ বর্তমান