ডিসেম্বর ১, ২০১৮
গত ৪ বছরে ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ এসেছেন মাদার ওয়াক্স মিউজিয়ামে

১০ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর মিউজিয়ামের ৪ বছর পূর্তি উদ্যাপন করা হয়েছে নিউ টাউনের মাদার ওয়াক্স মিউজিয়ামে। মিউজিয়ামের ট্যাটু রুমে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন সিনেমা।
গত চার বছরে ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ এসেছেন মিউজিয়ামে। দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পছন্দের তারকাদের মোমের অবয়ব ঘুরে দেখেছেন। নানা ভঙ্গিতে সেলফি তুলেছেন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় চারশো জন আসেন। নভেম্বরের শেষের দিক থেকে মার্চ পর্যন্ত সবথেকে বেশি মানুষ আসেন। মিউজিয়াম খোলা হয় বেলা ১২টায়। বন্ধ হয় সন্ধে ৭টায়। টিকিট ২৫০ টাকা। সোমবার বন্ধ থাকে। মিউজিয়ামের ওপাশেই রয়েছে সাজানো–গোছানো রেস্তোরাঁ, ক্যাফে। সেখান থেকে তাকালে যতদূরই চোখ যাবে মিলবে ইকো পার্কের দৃশ্য। সবার আগে চোখে পড়ে আলো ঝলমলে আইফেল টাওয়ার।
মিউজিয়ামে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী, শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, মাদার টেরিজা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বের হুবহু মোমের মূর্তি। সেইসঙ্গে রয়েছে মান্না দে, কিশোরকুমার, লতা মঙ্গেশকর, মিঠুন চক্রবর্তী, অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান। রয়েছেন কপিলদেব, শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলিরাও। তবে মেরামতির জন্য অনুপস্থিত উত্তম–সুচিত্রা। মোমের পাশাপাশি রয়েছে সিলিকনের মূর্তি। ২০১৪ সালে মিউজিয়াম শুরু হয় ১৯টি মূর্তি দিয়ে। এখন রয়েছে ৪৯টি। আরও কিছু মূর্তি আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে হলিউড জোন, বেঙ্গল আর্ট অফ ফেম, হরর জোন, বলিডউ, মিউজিক, কিড জোনের মতো বিভিন্ন গ্যালারি।
রাজ্যের ও দেশের প্রথম সরকার পোষিত মোমের মিউজিয়াম হিসেবে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম। ছবি বা সেলফি তোলায় কোনও বাধা নেই। ইকো পার্কে ঘুরতে আসা মানুষজনের মধ্যেও এই মিউজিয়াম নিয়ে যথেষ্ট উন্মাদনা রয়েছে। শুধু অন্যের মূর্তি দেখা নয়, চাইলে নিজের ‘স্টোন ডাস্টের’ মূর্তিও গড়ানো যাবে মিউজিয়ামের স্টোরে। সেখানকার শিল্পীরা মুখের মাপ নিয়ে তৈরী করে দেবেন হুবহু মুখ। খরচ পড়বে দু হাজার। এছাড়াও রয়েছে মিউজিয়ামের মূর্তিগুলিরই মিনিয়েচার সংস্করণ। রয়েছে ফ্রেমে বাঁধানো পুরনো কলকাতার বিভিন্ন ছবি ছাড়াও নানান জিনিসপত্র। মিউজিয়ামে ঘুরতে এসে স্মারক হিসেবে বা প্রিয়জনকে উপহার দিতে এখান থেকে কিছু না কিছু নিয়ে যান বেশিরভাগ মানুষই।
সৌজন্যে: আজকাল