অক্টোবর ৩১, ২০১৮
সাত বছরে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সাফল্য

তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। উন্নয়ন পর্ষদ গঠন থেকে শুরু করে শহরের সৌন্দর্যায়ন কিংবা নাগরিক পরিষেবা প্রদান – নতুন মাত্রা পেয়েছে রাজ্যের উন্নয়ন।
নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তরের কিছু সাফল্য:
নতুন উন্নয়ন পর্ষদ গঠন:
স্থায়ী পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং পরিকল্পিত পদ্ধতিতে পর্যটনের প্রসারের জন্য রাজ্যে নতুন আটটি উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে:
- গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ (২০১৩),
- ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ (২০১৫),
- তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ (২০১৫),
- বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ (২০১৬),
- পাথরচাঁপারি উন্নয়ন পর্ষদ (২০১৬),
- চ্যাংড়াবাধা উন্নয়ন পর্ষদ (২০১৭),
- তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ (২০১৭)।
- গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ, হলদিয়া উন্নয়ন দপ্তর, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ ও নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের ক্ষেত্র বাড়ানো হয়েছে।
গ্রীন সিটি মিশন:রাজ্যের শহরগুলিকে আরও ভবিষ্যৎমুখী, প্রতিভা-বান্ধব, বিনিয়োগমুখী করে তুলতে ২০১৬ সালে গ্রীন সিটি মিশন শুরু করা হয়েছে। ১২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫৯৬ টি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।
গীতবিতানঃবোলপুর ও বীরভূমের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে গীতবিতান উপনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে।
ভাসমান বাজারঃইএম বাইপাস সম্প্রসারণের কারণে যে সকল দোকানদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তাদের পুনর্বাসনের জন্য পাটুলিতে ভাসমান বাজার তৈরী করা হয়েছে।
সংশোধনাগার ও টেলি আকাদেমিঃবারুইপুরে একটি সংশোধনাগার ও টেলি আকাদেমি নির্মাণ করা হচ্ছে।
নিউটাউনের উন্নয়নঃ
- নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা সরণীর ধারে ১১২ একর জলাশয় ঘিরে মোট ৪৮০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে প্রকৃতি তীর্থ।
- রবীন্দ্র তীর্থ, নজরুল তীর্থ, মাদার্স ওয়াক্স মিউজিয়াম, বিশ্ব বাংলা কনভেনশন কেন্দ্র, ফিনান্সিয়াল হাব গড়া হয়েছে।
- নিউটাউনে জিপিএস যুক্ত সাইকেল শেয়ারিং পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
দীঘার উন্নয়নঃ
- দীঘায় প্রবেশদ্বার নির্মাণ করা হয়েছে।
- আলো দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে উপকূলবর্তী এই শহরকে।
- দীঘায় আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।
- দীঘার সমুদ্রের পাড়ের হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে এবং সমুদ্রের ধারে শোভা বাড়ানোর কাজ করা হয়েছে।
- বাস স্ট্যান্ড, দীঘা মোহনা রোড, শঙ্করপুরের বিটুমিনাস রোড, বিশ্ব বাংলা উদ্যান, দীঘা গেট থেকে মন্দারমনি বিটুমিনাস রোড, তাজপুরের বিটুমিনাস রোডের সৌন্দর্য বাড়ানো হয়েছে।
- দীঘার নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়েছে।
মুকুটমণিপুরে উন্নয়নঃ
- এই অঞ্চলকে তামাক ও প্লাস্টিকমুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশ্যে তামাক ও মদ্যপান ও প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- গ্রীন অ্যান্ড ক্লীন মুকুটমণিপুর গড়ার অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে।
তারকেশ্বরে উন্নয়নঃ
- তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনটি ইলেক্ট্রিক্যাল হাই মাস্ট ও তারকেশ্বর পুর অঞ্চলে ১৩টি হাই মাস্ট আলো বসানো হয়েছে।
- তারকেশ্বর পুরসভায় ৫টি ১২ মিটার ও ৩০০টি ৯ মিটার এলইডি আলো সিয়ে সজ্জিত পোল বসানো হয়েছে।
হাসপাতালঃ
- ১১.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩টি সরকারি হাসপাতালে বসার জায়গায় ছাদ, শৌচালয় ব্লক, বৃক্ষরোপণ, বেড়া দেওয়া, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, এলইডি আলো, হাই মাস্ট আলো উদ্যান করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
- ২৩টি জেলা হাসপাতালের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
- ১৩টি মহকুমা ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কাজ শুরু হয়েছে।
উদ্যানঃ১২২কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রীন স্পেস উন্নয়ন প্রকল্পে ৪০৬টি পার্কের উন্নয়ন হয়েছে এবং আরও ৩৯১টি পার্কের উন্নয়ন কাজ চলছে।
শ্মশানঃমেদিনীপুর-খড়গপুর প্ল্যানিং এরিয়াতে দূষণ রুখতে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার জন্য বৈদ্যুতিন চুল্লী তৈরী করা হয়েছে।