অক্টোবর ১০, ২০১৮
পর্যটন প্রচারে পুজোয় শহরের কিছু আবাসনে সামিয়ানা বাঁধবে রাজ্য

এবার পুজোয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে পর্যটনের বিপণন করতে চায় রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে পর্যটন দপ্তর পাখির চোখ করছে কলকাতার কয়েকটি বড় ও নামকরা আবাসনকে। প্রাথমিকভাবে এমন ২৬টি আবাসনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই কমপ্লেক্সগুলিতে যে দুর্গাপুজো হয়, সেখানে একসঙ্গে সমবেত হন বহু মানুষ। তাঁদের কাছে রাজ্য পর্যটনের দিকগুলি তুলে ধরতেই তাঁরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দপ্তরের কর্তারা।
পর্যটন দপ্তর এবার পুজোকেন্দ্রিক প্রচারে জোর দেওয়ার চেষ্টায় আছে প্রথম থেকেই। তার জন্য শহরের কয়েকটি ডাকসাইটে পুজো মণ্ডপকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রচুর মানুষ দেবীদর্শনে আসেন। সেখানে এবার একদিকে যেমন ব্যানার বা হোর্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রচারপর্ব চলবে, তেমনই সেখানে পর্যটন দপ্তরের কর্মীরাও হাজির থেকে রাজ্য পর্যটনের প্রচার করবেন। এরই পাশাপাশি এবার আবাসনগুলিকেও সেই প্রচারের তালিকায় রাখতে চায় তারা।
সেখানে আলাদা করে কিয়স্ক তৈরি করবে দপ্তর। সেসব সামিয়ানায় নিয়োগ করা হবে কর্মীদের, যাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন সাধারণ আবাসিক ও দর্শনার্থীদের। কোথায় গেলে কী দেখা যাবে, কোথায় থাকা যাবে, খাওয়াদাওয়াই বা কী হবে, সব ধরনের তথ্যই থাকবে সেই কিয়স্কে, জানিয়েছেন দপ্তরের কর্তারা।
দুর্গাপুজোর পরই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়াতে যাওয়ার ঝোঁক বরাবরই রয়েছে বাঙালির। গোটা বছর ধরেই এই ব্যাপারে পরিকল্পনা থাকে তাদের। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গকেও যাতে আরও গুরুত্ব দিতে পারেন তারা, সেই চেষ্টাই করছে দপ্তর। সেই কারণেই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এবার হরেক রকমের প্রচারের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। তাই বিভিন্ন দেশে দুর্গাপুজোর প্রচার বা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলায় আসার ডাক দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের মানুষকেও এই ব্যাপারে বঞ্চিত করতে চায় না দপ্তর। লিফলেট বিলি থেকে শুরু করে বুকিংয়ে সহযোগিতা সহ সব রকমের সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত তারা।
সৌজন্যেঃ বর্তমান