অক্টোবর ৬, ২০১৮
তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

আজ তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠক হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই এই সভা পরিচালনা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কমিটিতে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ-
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্বে বহান থাকছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে অবজারভার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। সহায়ক হিসেবে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতি হয়েছেন শুভাশিস চক্রবর্তী।
নদীয়া জেলায় পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এছাড়া, শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে থাকছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্বে সুব্রত বক্সী বহাল থাকছেন।
কোচবিহার জেলায় সুব্রত বক্সী দায়িত্বে আছেন, সহায়তা করবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সুব্রত বক্সী দায়িত্বে আছেন, সহায়তা করবে ফিরহাদ হাকিম।
নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব শুভেন্ধু অধিকারীকে দেওয়া হয়েছে।
১৯শে জানুয়ারির ব্রিগেডকে লক্ষ্য করে একটি প্রচার কর্মসূচী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন শুভেন্দু অধিকারী, সহায়ক আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া আরেকটি কমিটি তৈরী করা হয়েছে সুব্রত বক্সীকে চেয়ারম্যান করে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুব্রত মুখার্জি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শিশির অধিকারী, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, অসিমা পাত্র, পার্থ চ্যাটার্জি সহ সমস্ত জেলা সভাপতিরা থাকবেন।
তৃণমূল কাউকে ক্ষুদ্র মনে করে না। আমরা ১৯শে জানুয়ারির জন্য সমস্ত বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানাবো। অনেক নেতৃত্ব আসার ব্যাপারে নিশ্চয়তা করছে। এ ব্যাপারে ডেরেক ও’ ব্রায়েন এই দায়িত্বে আছেন।
পুজোর দিনগুলি যাতে সকলে শান্তিতে কাটাতে পারেন, সেই বিষয়ে সকলকে নজর রাখতে হবে। দিল্লী কখনও কখনও শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে চক্রান্ত করতে পারে।
কোনও উত্তেজনা, কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে বাঙালীর জাতীয় উৎসব পালন করুন। সবাই মিলে উৎসব পালন করুন।
জাতীয় চ্যানেলেও দুর্গাপুজো দেখানো হবে, বিদেশেও দেখানোর কথা চলছে। এই পুজোকে প্রত্যক্ষ করতে অনেক দেশ থেকে মানুষ আসবেন। সমস্ত সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
ফেসবুকের কোনও ফেক নিউজ নিয়ে বা ম্যানিপুলেটেড বা মানিপুলেটেড কোনও ঘটনাকে গুরুত্ব দেবেন না। ভালো কাজকে ঢেকে দেওয়া জন্য আজকাল এই কাজ হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশে যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি, রোজ বিজেপি দাঙ্গা লাগাতো। এটা ওদের সংস্কৃতি। ওদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই, টাকার সংস্কৃতিতে ওদের দল চলছে।
মানুষ কাকে চাইবে, সে বিচার মানুষের ওপর আমরা ছেড়ে দিয়েছি। গনতন্ত্রে মানুষই সবথেকে বড় ব্যাপার।
আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিজেপি সম্পূর্ণ পরাস্ত হোক। বাংলায় একটি আসনও যাতে গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করে না পায়, গণতন্ত্রের সমস্ত ধারক ও বাহককে আমরা সেই আবেদন জানাবো।
টাকার অঙ্ক, হেলিকপ্টারের অঙ্ক বা এজেন্সির অঙ্ক কাজ করবে না, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তৃণমূল কংগ্রেসকে সিআইডি দেখিয়ে, ইনকাম ট্যাক্স দেখিয়ে, ইডি দেখিয়ে, ফেকনিউজ দেখিয়ে, মানিপুলেটেড নিউজ দেখিয়ে বা ম্যানিপুলেটেড নিউজ দেখিয়ে ভয় দেখানো যায় না। কারণ, এটা সংগ্রামী রাজনৈতিক দল, অনেক রক্ত অনেক সমভ্রমের মধ্যে দিয়ে মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে এই দল ক্ষমতায় আছে।
ভারতের একমাত্র রাজ্য বাংলা যেখানে সিপিএমএর দেনার জন্য বছরে ৪৮হাজার কোটি টাকা শোধ করেও আমরা বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিয়ি। শুধু নিজের রাজ্যের নয়, ভিন রাজ্যের মানুষদেরও আমরা বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিয়ি।
বাংলার সরকার প্রায় নকোটি মানুষকে ২টাকা কিলো চাল দেয়। আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প আছে রাজ্যবাসীর জন্য। অনেক পরিকাঠামো তৈরী হয়েছে বাংলায়। এবছরেও পরিকাঠামো বাবদ ১৮হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। প্রত্যেক বিষয়ে আইন আনা হচ্ছে।
অনেকে বাংলার এই ভালোগুলো না দেখে উত্তেজনামূলক বক্তৃতা দেয়। বাংলার সৃষ্টি না দেখে, কৃষ্টি না দেখে, বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।