অক্টোবর ৩০, ২০১৮
ছিটমহলবাসীদের জমির স্বত্ব দিতে অর্ডিন্যান্সের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
সোমবার কোচবিহার শহরে ‘উৎসব’ অডিটোরিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে অর্ডিন্যান্স জারি করে সাবেক ছিটমহলবাসীদের জমির অধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার ৬৮ বছর পর ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় হয়। সাবেক ছিটমহলবাসীদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোনও রকম গাফিলতি মুখ্যমন্ত্রী বরদাস্ত করবেন না। শুধুমাত্র জমির অধিকার প্রদান নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, পানীয় জল-সহ পরিষেবার সমস্ত বিষয়ক কাজ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, বিনিময়ের সময় যে চুক্তি হয় সেই মতো সাবেক ছিটমহলবাসীরা কী কী সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন? কেন তাঁদের এখনও পর্যন্ত জমির মালিকানা দেওয়া হয়নি? ভূমি সংস্কার দপ্তরের সচিব জানান, ইতিমধ্যে জমির সার্ভের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ৯০০ একর জমির খসড়া সার্ভে করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। কার দখলে কত পরিমাণ জমি রয়েছে সেটাও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে পরবর্তী ধাপ এগোতে গেলে বিধানসভায় আইনের সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে।
এই কথা শোনার পরই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষের কাজ আমেন্ডমেন্টের জন্য আটকে থাকবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।” এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, তিনদিনের মধ্যে অর্ডিন্যান্স জারি করে সাবেক ছিটমহলবাসীদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে তা বিধানসভায় পাস করে নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাবেক ছিটমহলবাসীর উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের যা টাকা দেওয়ার কথা ছিল সেটা আসেনি। কিন্তু উন্নয়নের কাজ থেমে নেই। রাজ্যের তরফে বাড়তি টাকা খরচ করে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।