সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ৩১, ২০১৮

জলপাইগুড়িতে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

জলপাইগুড়িতে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলার টিয়াবনে একটি জনসভা করেন। সেখান থেকে তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের অনেক মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদরা। তিনি এই মঞ্চ থেকে সরকারি পরিষেবাও প্রদান করেন।

তিনি যে সকল প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন, সেগুলি হলঃ জলপাইগুড়ি সদরে কৃষি ভবন, জলপাইগুড়ি শহরে সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক প্রাঙ্গণে সংঘ সমবায় এবং কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ধুপগুড়ি ব্লকে ২০০০ মেট্রিক টন খাদ্য মজুচ ভান্ডার, মাল ব্লকে মাল্বাজার মডেল স্কুল হস্টেল, ময়নাগুড়ি ব্লকে ধর্মপুর শশধর উচ্চ বিদ্যালয় ও চুরাভান্ডার ভেলভেলা বিদ্যালয়, মাল ব্লকের মাল সুভাষিণী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং নাগরাকাটা ব্লকে নাগরাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন, ইত্যাদি।

তিনি যে সকল প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন, সেগুলি হলঃ রাজগঞ্জ ব্লকে সন্ন্যাসীকাটা ও বন্ধুনগর ডি এন উচ্চ বিদ্যালয়ে সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস, মাটিয়ালি, ধুপগুড়ি, মালব্লক এবং জলপাইগুড়ি সদরে কমিউনিটি হল, জলপাইগুড়ি ব্লকে জলপাইগুড়ি প্রসন্নদেব মহিলা কলেজে চার তলবিশিষ্ট ভবন এবং ক্যান্টিন, জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গ্যালারি এ ও বি তে ট্র্যক্স স্থাপন, ইত্যাদি।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

আজ মানুষ অসমে ব্যবসা করতে যেতে পারছেন না। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের লোকেরা ভয়ে আসামে যেতে পারছেন না। বাংলায় তো এমন হয় না। অসামবাসীরা আসুন, বাংলায় এসে বিনিয়োগ করুন, আমাদের কোন আপত্তি নেই। এটা রাজনৈতিক দোষ, এটা কখনোই মানুষের দোষ হতে পারে না। ওরা রাজনৈতিক কারণে মানুষদের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিচ্ছে।

মানুষের বিপদে সবসময় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমি সকল কর্মীদের বলবো, মানুষ যেন আপনাকে খুঁজে না বেড়ায়, আপনি মানুষকে খুঁজে নেবেন – এটাই আমাদের দিশা, আমাদের লক্ষ্য। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।

সরকার ডিজিটাল রেশন কার্ড করে দিয়েছে। ৪৩টি মাল্টিসুপার হাসপাতাল গড়া হয়েছে। সব জেলায় এইচ ডি ইউ, ৩০০ টি এস এন এস ইউ, সি সি ইউ, মাদার এন্ড চাইল্ড হাব হয়েছে। বেডের সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি বেড়েছে। বানারহাটে হিন্দি কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ তৈরী হয়েছে, আলিপুরদুয়ারে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। মাইনরিটি ভবন, তপশিলি ভবন হচ্ছে।

জীবনের অনেক সমস্যা থাকবে, কিন্তু সেগুলি সমাধান করে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন পরিকাঠামো তৈরী করতে হবে। আমরা সব কিছু করার জন্য তৈরী। শুধু আপনারা বিশ্বাস ও ভরসা রাখুন।

দেশে আজকাল কেউ ভাগাভাগির রাজনীতি করছে। আমরা ভাগাভাগির নয়, একতার রাজনীতি করি। আমরা সবাই এক। আমরা সবাই একসাথে থাকতে চাই। মেরে ভাগিয়ে দিয়ে কখনো আচ্ছে দিন আনা যায় না। যারা বলছে দেশে আচ্ছে দিন আসবে, মিথ্যে কথা বলছে। দেশে কালো দিন চলছে।

শান্তিতে রয়েছে বাংলা। তাই ওরা চায় বাংলার শান্তি নষ্ট করতে কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। বাংলা চায় আমাদের দেশ এক থাক, ভালো থাক। সততার সাথে, সত্যের সাথে আচ্ছে দিন আনতে হবে।

জোর করে আদিবাসীদের জমি নিয়ে সেখানে বিজেপির অনুষ্ঠান হবে, এটা আমরা চাই না। তপশিলি, দলিতদের অত্যাচার করে, মা-বোনেদের মর্যাদা না দিলে আচ্ছে দিন আসবে না।

বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প – ৩ পয়সাও দেয় না. প্রধানমন্ত্রীর বাজেট ১০০ কোটি টাকা, তার মধ্যে সব বিজ্ঞাপনেই খরচ হয়ে যায়। বাংলার কন্যাশ্রীর বাজেট ৬০০০ কোটি টাকা, মাত্র একটা রাজ্যে। ১০০ কোটির নাম করে মিথ্যে কথা বলছে। বেটি বাঁচবে কি করে আর পর্বেই বা কি করে! শুধু বড় বড় কথা। শুধু কথায় কিছু হয় না।

ওরা ৪ বছরে দেশকে বরবাদ করে দিয়েছে। রোজ পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। মানুষকে খুন করছে, লিনচিং করছে। কি করছে ওরা?ব্যাংকে টাকা রাখলে মানুষ টাকা পাবে না। আমি বলবো সজাগ থাকুন, সতর্ক থাকুন, শান্তিতে থাকুন।

আমাদের ছাত্র-যৌবন কুৎসা, অপপ্রচার, ভাওতা – কোন কিছুর কাছে মাথা নত করবে না, এই শিক্ষাই আমরা পেয়েছি।

আমরা আমাদের সাধ্যমত করি, আমরা উত্তরবঙ্গ উৎসব করি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

বাবা মার জন্ম সার্টিফিকেট চাইছে নয়তো বলছে দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে। ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। অসমে আমাদের ভাই বোনেরা কান্নাকাটি করছে। আমাদের রাজ্যেও ওপার বাংলা থেকে যারা এসেছে, তারা অনেকে আছে কোচবিহার, মালদা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায়। তাদের আমরা এখানে ব্যবসা করতে দিই। কেউ কেউ এখানে ৩০/৪০/৫০ বছর আছে।

অসমে বাঙালী খেদাও, বিহারী খেদাও, উত্তরপ্রদেশ খেদাও, আদিবাসী খেদাও। গুজরাটে বিহারী খেদাও, উত্তরপ্রদেশ খেদাও। এসব বাংলার মানুষ করে না। আমি সকলকে বলি, আপনাদের থাকার জায়গা না থাকলে, বাংলায় আসুন, আমরা আপনাদের নিজের পরিবার মনে করে সাহায্য করব। আসামী, গুজরাটিরাও আমাদের ভাই বোন। ২০১৪ সালে অসমে যখন দাঙ্গা হয়েছিল, তখন তারা বাংলায় আশ্রয় নিয়েছিল।

আমাদের এখানে অনেক ভিন রাজ্যের মানুষ থাকেন। তারা থাকতে থাকতে বাঙালী হয়ে গেছেন। তাদের আমরা চলে যেতে বলতে পারি? তারা কোথায় যাবেন? দেশের মানুষ দেশের যে কোনও জায়গায় থাকতে পারেন। এই সমস্যা এর আগে কখনও হয়নি।

সিপিএম ৩৪ বছর সরকারে ছিল, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, চা বাগান – কাউকে কিছু দেয়নি। নতুন স্বাস্থ্য পরিষেবা করেনি। নতুন শিক্ষা পরিষেবা করেনি।

আমাদের সরকার আসার পর একটা শিশু জন্মালেও তার ভবিষ্যতের জন্য তার হাতে একটা গাছ তুলে দিই। যে গাছটার দাম বাচ্চাটার বড় হওয়ার সময় দেড় দুই লাখ টাকা হবে। বাচ্চাটা বড় হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারবে।

স্কুল পড়ুয়াদের বৃত্তি দিচ্ছি, বিনামূল্যে ব্যাগ দিচ্ছি, বই দিচ্ছি, জুতো দিচ্ছি, মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে।

প্রসূতিদের আইসিডিএস কর্মীরা, আশার কর্মীরা সেবা করছেন। প্রসূতিদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে বাচ্চা বিনামূল্যে জন্মাচ্ছে। এক বছর পর্যন্ত ওই বাচ্চাটির কোনও অসুখ হলে হাসপাতাল গাড়ি পাঠিয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাবে।

বিনা পয়সায় চিকিৎসা। ১০ কোটি লোক বাংলায়, তাছাড়া বাংলাদেশের রোগীরা আসে। বিহার থেকে লোক আসে, ঝাড়খণ্ড থেকে আসে, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসে, ভুটান থেকে আসে। তাদের চিকিৎসাও আমাদের করাতে হয়,কোনো জায়গায় চিকিৎসায় ফ্রি নেই, আমাদের সরকারী হাসপাতালে বিছানার ভাড়া লাগে না। ওষুধের টাকা লাগে না।

বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেয় কে? পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কন্যাশ্রী দেয় কে? পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শিক্ষাশ্রী দেয় কে? পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সবুজশ্রী দেয় কে? পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিনা পয়সায় সাইকেল দেয় কে? পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কৃষকদের ট্রাক্টর দেয় কে? পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গতিধারায় গাড়ি দেয় কে? পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

আমাদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প আছে। যারা বাড়ি তৈরি করে, অটো চালায়, যারা গাড়ি চালায়, রিক্সা চালায়, ডোমেস্টিক হেল্প এর কাজ করে, গৃহস্তের কাজ করে, বিড়ি বানায় – তারা ২৫ টাকা দেবে, সরকার ৩০ টাকা করে দেবে প্রতি মাসে। যখন ৬০ বছর বয়স হয়ে যাবে সে ২ লক্ষ টাকা পেনশন পাবে। মেয়ের বিয়েতে সরকার টাকা দেবে, একসিডেন্টে মারা গেলে পরিবার টাকা পাবে।

২ টাকা কিলো চাল তো পান। বাইরে কত দাম? ২৪/২৫ টাকা। চা বাগানের শ্রমিকরা ৪৭ পয়সায় ৩৫ কেজি করে চাল পায়। এটা মনে রাখবেন, এমনকি কীটনাশক মশারিও বিনা পয়সায় দেওয়া হয়। মনে রাখবেন ২ টাকা কিলো চাল, বিনা পয়সায় চিকিৎসা, নাইনে উঠলে সাইকেল, শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী স্কলারশিপ, উচ্চ শিক্ষায় স্কলারশিপ আছে। কয়েক হাজার মানুষ পেনশন পায়। যারা কেন্দু পাতা তুলতে যায় ,তারা পায়।

অনেক চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিদ্যুতের বিল পর্যন্ত মুকুব করে দিয়েছিলাম। বিনা পয়সায় জল দিয়েছি। শুধু তাই নয়, চায়ের বাগানের কিছু জমি চাষের জন্য সেস মুকুব করা হয়েছে।

কৃষি জমির খাজনা মুকুব করা হয়েছে। মিউটেশন ফি মুকুব করা হয়েছে। বাংলার জন্য অনেক করেছি,সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরা আগে পড়াশোনা করতে পারতো না, এবছরও ৩৩লক্ষ সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের স্কলারসিপ দিয়েছি। আমাদের সময় ১ কোটি ৭০ লক্ষ ছেলেমেয়েদের স্কলারশিপ দিয়েছি শুধু সংখ্যালঘুদের। তফসিলি জাতি, উপজাতির ৫৭ লক্ষের বেশি ছেলেমেয়েরা স্কলারশিপ পেয়েছে।

বাংলা আবাস যোজনায় ২৫লক্ষ মানুষদের বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। কিছু না হলেও ২৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছি। আরও ১৯,০০০ কিলোমিটার রাস্তা হাতে নেওয়া হয়েছে।

এই ভাবেই সারা বাংলা জুড়ে কাজ চলছে, আরও করতে পারতাম। আমাকে কি করতে হবে? বামফ্রন্ট সরকার ৩৪ বছর ধরে দেনা করে গিয়েছে। এত টাকা দেনা করেছিলেন যে আজও আমাকে তা মেটাতে হয়। ৫০ হাজার কোটি টাকা বিজেপি সরকার আমাদের থেকে কেটে নিয়ে যায়। সিপিএমের সময়ের দেনা আমাদেরকে মেটাতে হচ্ছে, ঐ টাকা যদি মেটাতে না হত তাহলে আমরা আরও কাজ করতে পারতাম।

আগে তো চা বাগান বন্ধ করে দিত, কেউ দেখতও না। কিন্তু এখন আমরাতো দেখি, আমরা চা বাগানের জন্য নতুন ডিরেক্টরেটও করে দিয়েছি। আমরা উত্তর কন্যা বানিয়েছি, এরকম বহু মন্ত্রণালয় ও বানিয়ে দিয়েছি। এইরকম অনেক কাজ আমরা করেছি কারণ গরীব মানুষেরা, দুঃখী মানুষেরা, কৃষকগণ এরা যেন ভালো করে বাঁচতে পারে।

বাইরের রাজ্যে কৃষকেরা আত্মহত্যা করে, আমরা চাই আমাদের কৃষক ভালো থাকুক, আমাদের চাষবাস ভালো হোক। এখন ঝড় বৃষ্টি হলেও আমরা কৃষকদের পরিবারকে সাহায্য করি। মনে রাখবেন, ঝড় বৃষ্টি যখন হয় ঘড়বাড়ি তখন ভেঙ্গে যায়, আজকে লোকে জানে সরকার আছে। কেউ কোনও দুর্ঘটনায় মারা গেলেও আমরা তাদের পরিবারকে সাহায্য করি। যারা বাইরে কাজ করে তাদের কিছু হলেও আমরা সাহায্য করি।

মনে রাখবেন আমরা বেকারদের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিই। বেকার ছেলে মেয়েরা নিজে পায়ে দাঁড়াক এটা আমরা চাই। সারা ভারতবর্ষে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। নোটবন্দীর নামে মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজকে দেশে যা চলছে প্রতেকটি সেক্টরকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি এজেন্সি দিয়ে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে।

মনে রাখবেন বাংলা আজও আত্মমর্যাদা দিয়েছে মানুষকে। বাংলায় ৪০ লক্ষ বেকার কমে গিয়েছে, এটা গর্ব আমাদের। আমরা প্রতি বছর ১২ লক্ষ ছেলে মেয়েদের স্কিল ট্রেনিং দিচ্ছি। এর জন্য কলেজও তৈরি হয়েছে, পলিটেকনিক কলেজ তৈরি হয়েছে, আইটিআই তৈরি হয়েছে, আমরা চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজে পায়ে দাঁড়িয়ে কাজ করুক।

দার্জিলিং আগে কি ছিল, আর এখন কেমন হয়েছে গিয়ে দেখুন। আগে পাহাড়ে যেতে পারতেন? সবসময় ঝামেলা হত আর কেন্দ্র তাতে মদত দিত। কিন্তু আমরা পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়েছি। এখন পাহাড় শান্তিতে আছে।

ইন্দির গান্ধীর প্রয়াণ দিবস ও সর্দার বল্লভ ভাই প‍্যাটেলের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই। বল্লভ ভাই প‍্যাটেল কোনো দিন ভাগাভাগি চাইতেন না। তিনি চাইতেন ঐক‍্যের জন্মভূমি। মনে রাখবেন দেশটা আমাদের মা, রাজ‍্যটা আমাদের মা। এটা আমাদের জন্মভূমি, এটা আমাদের কর্মভূমি। এটা আমাদের ধর্মভূমি। এটা আমাদের শিক্ষার ভূমি। এটা আমাদের সংস্কৃতির ভূমি। এটা আমাদের সভ‍্যতার ভূমি। যে ভূমিতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাবাসাহেব আম্বেদকর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, রাজেন্দ্র প্রসাদ, ইন্দিরা গান্ধী এবং সর্দার বল্লভ ভাই প‍্যাটেল জন্ম নিয়েছিলেন।