অক্টোবর ২৬, ২০১৮
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বাড়ল বিমার অঙ্ক

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’–তে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দেড় লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে রাজ্য অর্থ দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এদিন থেকেই এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত সব পরিবার এই সুবিধা পাবে। স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা দপ্তর জানিয়েছে, এখন ৫০ লক্ষেরও বেশী পরিবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় আছে।
এতদিন হাসপাতালে ভর্তি হলে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা নিখরচায় পাওয়া যেত। ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির ক্ষেত্রে তা পাঁচ লাখ টাকা ছিল। এবার থেকে সব ক্ষেত্রেই তা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হল। সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও রাজ্যের প্রথম সারির ৬০০টি বেসরকারি হাসপাতালেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এখন ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে অসংগঠিত শ্রমিক, সিভিক ভলান্টিয়ার, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, কেবল অপারেটররা আওতাভুক্ত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছর রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের সবরকম চিকিৎসা, এমনকি ক্যান্সার আক্রান্ত হলেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা মেলে রাজ্য সরকারের তরফে। এদিনের সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ওই আর্থিক সুবিধা আরও অনেকটা বৃদ্ধি করা হল। উপভোক্তাদের এর জন্য স্বাস্থ্যবিমা বাবদ কোনও কিস্তি দিতে হবে না। ইন্টারনেটে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করা যেতে পারে। এছাড়াও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপ ডাউনলোড করে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
‘স্বাস্থ্যসাথী’–তে গরীব মানুষের মধ্যে আরও উৎসাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা দেড় লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হল।