সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ৩১, ২০১৮

সাত বছরে শহরাঞ্চলে ব্যাপক পরিকাঠামো উন্নয়ন

সাত বছরে শহরাঞ্চলে ব্যাপক পরিকাঠামো উন্নয়ন

তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। নির্মাণ করা হয়েছে প্রচুর নতুন পরিকাঠামো।

আসুন, দেখে নেওয়া যাক গত সাত বছরে নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তরের কিছু সাফল্য:

উড়ালপুর/সেতু/রাস্তা নির্মাণ:

  • ৭.৪ কিঃ মিঃ দীর্ঘ মা উড়ালপুল নির্মাণ করা হয়েছে।
  • গার্ডেনরিচ উড়ালপুল, চন্দননগর উড়ালপুল তৈরী করা হয়েছে।
  • ইএম বাইপাসে আদিগঙ্গার উৎপত্তি স্থল থেকে কামালগাজি মোড় পর্যন্ত চার লেনের উড়ালপুল তৈরী হয়েছে।
  • কাজী নজরুল ইসলাম সরণির ওপর কেষ্টপুর থেকে জোড়ামন্দির পর্যন্ত উড়ালপুল তৈরী করা হয়েছে।
  • জিঞ্জিরাবাজার – বাটানগর উড়ালপুল ও দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে।
  • গঙ্গাসাগরের পুন্যার্থীদের সুবিধার্থে বটতলা নদীর জেটি থেকে চিমাগুড়ি নতুন বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
  • বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে সুলভ কমপ্লেক্স ও রাত্রিবাসের জায়গা নির্মাণ করা হয়েছে।
  • শ্রীদাম মোড় থেকে বনবিবি মন্দির ভায়া গঙ্গাসাগর মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে।
  • বক্রেশরে মন্দির রোড থেকে শ্মশান পর্যন্ত কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
  • ট্রাফিকের সুবিধার্থে এবং দুরত্ব ও সময় বাঁচাতে চতুর্থ মহানন্দা সেতু ও অ্যাপ্রোচ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
  • কংসাবতী বাঁধের পাশে রাস্তার সংস্কার ও তৈরী, ত্রিকোণ পার্কে ফোয়ারা, মিনি হাই মাস্ট আলো বসানো, ১৫টি দোকানের সংস্কার ও মুকুটমণিপুর ও বারাঘুটুর রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে।
  • ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে এনডিআইটিএ অঞ্চলে রিং রোড এবং নিউটাউনে একটি লিঙ্ক রোড নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

আবাসনঃ ২০১১ থেকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষের জন্য ১,২২,৩০৫টি বাড়ি তৈরী করা হয়েছে । আরও ৫৩,৫০৪টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে।

দক্ষতা বৃদ্ধিঃবিভিন্ন পুর অঞ্চলে ৬১টি সিটি লাইভলিহুড সেন্টার তৈরী করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে শহুরে এলাকার দরিদ্র ও বেকার যুবকদের দক্ষতা ও জীবিকা উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হয়। এবং নাগরিক পরিষেবা প্রদানকারীদের (যেমন, বিদ্যুৎ সরবরাহকরি, কাঠের মিস্তিরি, প্লাম্বার ইত্যাদি) সাথে নাগরিকদের সংযোগ গড়ে তুলতেও সাহায্য করে এই কেন্দ্রগুলি।

সমব্যাথীঃসমব্যাথী প্রকল্পের অধীনে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১২৫টি পুরসভা অঞ্চলে ২৯,১৬৫ টি পরিবার উপকৃত হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃশহরাঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানঃসমস্ত পুর অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ৭ দিন ও ২০১৭ সালে ১৫ দিন এই অভিযান চলে।

উৎসস্থলেই বর্জ্য পৃথকীকরণঃউৎসস্থলেই বর্জ্যের পৃথকীকরণ আরও উন্নত করতে ১০০ শতাংশ ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা চালু করা হয়। বিভিন্ন পুরো এলাকার বাড়িগুলোতে ময়লা ফেলার বিন প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তিনচাকার ভ্যান, কম্প্যাক্টর, ডাম্পার, টিপার ও অন্যান্য যানবাহনও সরবরাহ করা হয়েছে।

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃ

  • হুগলী জেলার ছটি পুরসভা অঞ্চলে আন্তঃ-পুরসভা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে।
  • নির্মল বাংলা মিশনের অধীনে ১৪টি পুরসভায় ১০টি সুসংহত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু হয়েছে। এখানে বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট ও শক্তি উৎপাদন করা হয়। এই পুরসভাগুলি হল, দমদম, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, বরানগর, ভাটপাড়া, নৈহাটি, অশোকনগর-কল্যাণগড়, হাবড়া, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, নবদ্বীপ, জলপাইগুড়ি, কলকাতা ও আসানসোল।
  • এছাড়া, আরও ১৩টি পুরসভায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু করা হয়েছে – দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, কোচবিহার, বর্ধমান, আরামবাগ, রঘুনাথপুর, খড়গপুর, পানিহাটি, কাঁচড়াপাড়া, বারুইপুর, গারুলিয়া, আসানসোল।

জল সরবরাহ প্রকল্পঃ

  • দৈনিক ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ প্রকল্প শুরু করা হয়েছে পানিহাটি, ভদ্রেশ্বর, বজবজ, উলুবেড়িয়া পুরসভায়।
  • মধ্যমগ্রাম, নিউ বারাকপুর, বারাসাত, টিটাগড়, খড়দহতে আন্তঃ-পুরসভা জল সরবরাহ প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।
  • ২৪টি ক্ষরা প্রবণ অঞ্চলে জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২৬০টি দু’চাকার ২০০০ লিটারের স্টেনলেস স্টিলের জলের ট্যাঙ্ক এবং ৫০টি ট্র্যাক্টর দেওয়া হয়েছে।
  • গেওখালিতে জল পরিশোধন প্ল্যান্ট, হলদিয়াতে তিনটি পরিষ্কার জলের রিজার্ভার নির্মাণ করা হয়েছে।