অক্টোবর ৩, ২০১৮
গাজলডোবায় 'ভোরের আলো' পর্যটন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

গাজলডোবায় ‘ভোরের আলো’ পর্যটন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। তিস্তার ওপরে গাজলডোবা জলাধারকে কেন্দ্র করে ২০৮ একর জমির ওপরে তৈরি হয়েছে এই প্রকল্প।
এখানে টু–স্টার হোটেল ছাড়াও থাকবে সাইক্লিং, বোটিং এবং ক্যাম্পিংয়ের মতো পরিষেবাও। পাশাপাশি ৬০ একর জমিতে গোল কোর্স তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী। পাশাপাশি সরস্বতী চা–বাগান থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্ক পর্যন্ত ট্রেকিং রুট চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
এই প্রকল্প এলাকার মধ্যেই একটি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে হবে একটি বৃদ্ধাশ্রম একটি থানা এবং একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। ওদলাবাড়ি থেকে গজলডোবা পর্যন্ত নতুন রাস্তা তৈরিরও পরিকল্পনা নিয়েছেন পর্যটন দপ্তর।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:
- ‘ভোরের আলো’ এখন থেকে জনপ্রিয় হবে। আগামী দিনের বিস্ময় হবে গাজোলডোবা।
- মাঝিদের আজ কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হল,তাদের নৌকা চালানোর সরঞ্জাম দেওয়া হল, তারা যেন লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে রাখেন। বেশি সংখ্যক লোক যেন কেউ বোটে না তোলা হয়।
- জলধারা প্রকল্পের আওতায়, যে সব মাঝিরা নৌকা চালিয়ে রোজগার করেন তাদের জন্য আধুনিক নৌকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
পর্যটকদের জন্য একটা ফুড ক্যাম্প করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে। এর পাশেই হয়েছে বাংলা সাফারি; সেখানে এলিফ্যান্ট ও জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে। - একদিকে জলদাপাড়া অন্যদিকে শুকনা সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। অনেক কটেজ তৈরী করা হয়েছে।
- ঝড়খালিতে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে, বকখালি সংস্কার করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর, তারাপীঠ, ফুরফুরাশরীফ, পাথরচাপারিতে পর্যটন কেন্দ্রের সংস্কার হয়েছে।
- দক্ষিণেশ্বরে স্কাই ওয়াক তৈরী হচ্ছে। একান্নপীঠ কালীবাড়ি রয়েছে। বাউল বিতান তৈরী হচ্ছে, ইতিমধ্যেই রাঙা বিতান তৈরী হয়ে গেছে।
- পাহাড়ের সকল ভাইবোনদের এবং পুলিশদের অনুরোধ জানাবো চারদিকে নজর রাখতে। কারণ পর্যটকরাই আপনাদের লক্ষ্মী।
- লামাহাটার মতো এখানে হোম ট্যুরিজম চালু করা হবে। মানুষ যাতেউন্নত পরিষেবা পায় সেই সব ব্যবস্থা করবে সরকার।
- এখানে বিশ্ব বাংলার একটা বিপণন কেন্দ্র হওয়া উচিত। এখানকার স্থানীয় ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য এখানে বাংলার গ্রামীণ হাট হতে পারে। এর জন্য দু’একর জমি দেওয়া হবে।
- স্থানীয় শিল্পীদের প্যানেল করতে হবে, একেক দিন একেক শিল্পী পরিবেষণ করবেন। এর ফলে তাদের কর্মসংস্থান হবে। এর মাধ্যমে এই অঞ্চল গৌরবান্বিত হবে।
- এখানে হোটেল ও হেলিপ্যাড চালু হবে। এখানে পর্যটনের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান তৈরী হবে, যেখানে স্থানীয় ছেলে মেয়েরা কাজ পাবে।
- এখানে অনেক শিল্পপতিরা এসেছেন আমার সঙ্গে জায়গাটা দেখতে। আমি তাদের অনুরোধ করব তাদের পরিচিতদের মধ্যে এই জায়গার প্রচার করতে।
- সরকারি আধিকারিকদের বলব, আপনারাও নিজেদের অঞ্চলে কোনও পর্যটনের সম্ভাবনাময় অঞ্চল থাকলে, তা খুঁজে বার করুন। মানুষের পাশে দাঁড়ান, সাহায্য করুন, খবর নিন।
- উৎসবের দিন প্রশাসনকে বলব সতর্ক থাকতে। অনেকে পরিকল্পিত ভাবে মানুষের আনন্দ কেড়ে নিতে চায়। উৎসবের দিনগুলি আলোকময় হোক।