সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ৩১, ২০১৮

নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তরের প্রশাসনিক সংস্কার

নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তরের প্রশাসনিক সংস্কার

তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। নির্মাণ করা হয়েছে প্রচুর নতুন পরিকাঠামো। করা হয়েছে অনেক প্রশাসনিক সংস্কার।

আসুন, দেখে নেওয়া যাক গত সাত বছরে নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তরের কিছু সাফল্য:

ব্যবসার করার সুবিধা:জমি ও বাড়ির সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার জন্য ১০টি পুর অঞ্চলে অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এই পাইলট প্রকল্পটি সফল হবে পরে আরও পুরো এলাকায় এই পরিষেবা প্রদান করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন ১৯৯৩ এর সংশোধনঃকার্যনির্বাহী অফিসার ও অর্থ আধিকারিকদের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন ১৯৯৩ এর সংশোধন করা হয়েছে।

বিভিন্ন প্যারাস্টটল সংস্কার করা হয়েছে। যেমন, কেআইটি ও কেএমডব্লুএসএ সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে কেএমডিএর ক্ষমতাবৃদ্ধি ও সংস্কার।

সঠিক প্লাস্টিকের ব্যবহারঃনির্দিষ্ট ঘনত্বর বেশি কোনও প্লাস্টিক ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাজ্যের পুর অঞ্চলে।

পুরনো বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপত্তাঃপুর আইনের ৪১২এ ধারা প্রবর্তনের ফলে এখন কোনও বিপজ্জনক বাড়ির সংস্কারের জন্য পুরসভাই বাড়ির মালিককে নির্দেশ দিতে পারে। এর ফলে বাঁচতে পারে অনেক প্রাণ।

পরিবেশ বান্ধব বাড়ির আইনঃকলকাতা পুর বিল্ডিং রুলস ২০০৯ এর সংশোধন করা হয়েছে। গ্রীন এবং অন্যান্য বিভাগের বাড়ির অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়া রেশিও যুক্ত করা হয়েছে আইনে।

পাশাপাশি, সংশোধন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুর বিল্ডিং রুলস ২০০৭ এর। উভয় ক্ষেত্রেই ফ্লোর এরিয়া রেশিও ১০ শতাংশ (গ্রীন বিল্ডিং) ও ১৫ শতাংশ (বড় আবাসন, যেমন হাসপাতাল, তথ্যপ্রযুক্তি অফিস, বড় বেসরকারি প্রকল্প ইত্যাদি) ধার্য করা হয়েছে।

সম্পত্তি কর সংস্কার:কলকাতা পুরসভা আইন ও পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন ১৯৯৩ সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে জায়গা ভিত্তিক সম্পত্তি কর (ইউনিট এরিয়া এসেসমেন্ট) ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে কলকাতা পুরসভা ও অন্যান্য পুরসভা অঞ্চলে।