সাম্প্রতিক খবর

ডিসেম্বর ৯, ২০১৮

দিঘার জগন্নাথ মন্দির ঘিরে পর্যটন ভাবনা

দিঘার জগন্নাথ মন্দির ঘিরে পর্যটন ভাবনা

গত সফরে এসে সম্প্রীতি নগর খুঁজে পেয়েছিলেন। যেখানে নেই কোনও বাধা–ব্যবধান। এবার এসে খুঁজে নিলেন সৈকতের জগন্নাথধাম। আর সমুদ্র লাগোয়া সেই জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে নয়া তীর্থক্ষেত্র গড়ে তোলার বার্তাও দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দীঘায় একাধিকবার এসেছেন বহু মানুষ। কিন্তু অনেকেই খেয়াল করেননি ওল্ড দিঘা সৈকতে দিঘা থানারই এক্কেবারে সামনে সৈকতের ছোট্ট জগন্নাথ মন্দিরটির কথা। কিন্তু স্থানীয়দের কাছে বেশ পরিচিত মন্দিরটি। পর্যটন উন্নয়নে এবার সেই ছোট মন্দির এবং সংলগ্ন জগন্নাথঘাটকে ঘিরে পর্যটন উন্নয়নের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দীঘার প্রশাসনিক বৈঠকে দীঘাকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার আইনি প্রয়োগের কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সৈকতের পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করতে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যখন পুরী যায় তখন সমুদ্র দেখার পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেয়।
দিঘার জগন্নাথ ঘাটে জগন্নাথ দেবের ছোট মন্দির রয়েছে। ওই মন্দিরকে বড় করে তৈরী করতে হবে। যাতে ওই জায়গাও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই কোনও পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠে, তখন সেটাকে কেন্দ্র করে কিছু তীর্থক্ষেত্র গড়ে ওঠে। যেমন কপিলমুনির আশ্রম ঘিরে গঙ্গাসাগর গড়ে উঠেছে। আমরা গঙ্গাসাগরকে সুন্দর করে উন্নয়ন করেছি, যা গত ৬০ বছরে কেউ করেনি। আগে ওই জায়গায় একজনও থাকতে পারত না। এখন সেখানে হাজার হাজার লোক থাকতে পারে। আমরা একইভাবে তারকেশ্বর, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বরকে সাজিয়েছি। একইভাবে মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মস্থানের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হয়েছে।’

সৌজন্যেঃ আজকাল