Latest News

August 11, 2018

অমিত শাহ, ক্ষমা চান, নয়তো আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবেঃ তৃণমূল কংগ্রেস

অমিত শাহ, ক্ষমা চান, নয়তো আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবেঃ তৃণমূল কংগ্রেস

আজ কলকাতায় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ এক জনসভা করেন। সেই সভায় অমিত শাহ রাজ্য সরকারের ওপর ভিত্তিহীন অভিযোগ আনেন। তার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।

তিনি বলেন, “অমিত শাহ আজকে বাংলাকে অপমান করেছেন, বাংলাকে অসম্মান করেছেন। বাংলার সভ্যতা, বাংলার শুদ্ধ সূচী, সুস্থ রুচি উনি বোঝেন না। এসব ওনাকে কি বোঝাব? বাংলার যে একটা সংস্কৃতি আছে, উনি সেটাকে অপমান করেছেন। তিনি ডাহা মিথ্যে দুর্নীতির কথা বলেছেন। উনি যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চান, অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। সভ্যতার একটা সীমা থাকে, সম্মানের একটা সীমা থাকে। সেই সীমা অমিত শাহ আজ অতিক্রম করেছেন। অমিত শাহ, আপনি আগে নিজের ইতিহাস দেখুন, হলফনামা দেখুন।”

ডেরেক ও’ব্রায়েন অমিত শাহের বিষয়ে আরও বলেন, “উনি দুর্নীতির ডাকাত, দাঙ্গার ডাকাত। এইসব ধরনের রাজনীতি আগে যেখানেই করে থাকুন না কেন, এই রাজনীতি বাংলায় চলবে না। একদিনের জন্য আসবেন, বাংলাকে অপমান করে পালিয়ে যাবেন। আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। সোজা ভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হয় ক্ষমা চান, আর যদি না চান, আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। ”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটি একটি ফ্লপ শো ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাংলায় কোনও দুর্নীতির অভিযোগ আনলে, বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের আস্থা-ভরসা প্রশ্নাতীত। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর দুর্নীতির কাদা ছোঁড়ার চেষ্টা করা হয়েছে।”

রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জীর (National Register of Citizens or, NRC) বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা শুধু বাংলার বিষয় নয়, এটা পুরো দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়। আমাদের রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জীর বিষয়ে বক্তব্য পরিষ্কার, এটা বাংলার একার ব্যাপার না, এটা রাজস্থান, পাঞ্জাব, বিহার, আসামেরও বিষয়। গোর্খা, গরীব, প্রান্তিক মানুষ, বীর সেনা, জনপ্রতিনিধিদের, এমনকি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবারের মানুষদেরও ঐ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক বাঁচাও, এটাই আমাদের স্লোগান। এটা কোনও সস্তার দাঙ্গা লাগানোর স্লোগান না। কোনও দাঙ্গার রাজনীতি বাংলায় চলবে না। আমরা আমাদের সীমার মধ্যে থেকে, শান্ত-নম্র ভাবে বলেছি, আমাদের বাংলার পারম্পরিক সংস্কৃতি আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মেনে চলি। আজ অমিত শাহ তাঁর সীমা ছাড়িয়েছেন।”