সাম্প্রতিক খবর

মে ১৪, ২০১৯

উত্তর ২৪ পরগনায় উন্নয়ন এক ঝলকে

উত্তর ২৪ পরগনায় উন্নয়ন এক ঝলকে

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে উত্তর ২৪ পরগনায় নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে।

দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে

স্বাস্থ্যঃ দুটি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, ১৩টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, আটটি ন্যায্য মূল্যের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, ১৯টি এসএনএসইউ, ছটি এসএনসিইউ, তিনটি সিসিইউ, দুটি এইচডিইউ, দুটি নার্সিং স্কুল।

স্কুল শিক্ষাঃ সাড়ে সাত বছরে ২৪৫টি স্কুল তৈরী হয়েছে, ১৭৭টি স্কুলকে উন্নীত করা হয়েছে। বাল্য বিবাহ এবং শিশুপাচার রুখতে প্রতি স্কুলে সঙ্কল্প নামে কন্যাশ্রী ক্লাব গঠন করা হয়েছে।

বৃত্তিঃ সাড়ে সাত বছরে ১৪.২৫ লক্ষ মেয়েকে কন্যাশ্রী এবং ৫.৫৫ লক্ষ পড়ুয়াকে শিক্ষাশ্রী দেওয়া হয়েছে।

উচ্চ শিক্ষাঃ আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, প্রেসিডেন্সী কলেজের নতুন ক্যাম্পাস করা হয়েছে, রাজারহাটে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার করা হয়েছে। হরিচাদ গুরুচাদ বিশ্ববিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টার ফর হিউম্যান এক্সসেলেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস তৈরী হচ্ছে, দুটি সরকারি ডিগ্রী কলেজ, নটি আইটিআই, তিনটি পলিটেকনিক তৈরী করা হচ্ছে।

কৃষিঃ ৪.৮৫ লক্ষ কৃষককে ৫৩১.৭৪ কোটি টাকার সরকারি সাহায্য করা হয়েছে। ৬১টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার, আটটি তেল কল, দেগঙ্গায় রাজ্যের প্রথম মধু হাব, ঠাকুরনগরে ফুলমান্ডি হয়েছে। বারাসাতে হর্টিকালচার টেকনোলজি অ্যান্ড ডিসেমিনেশন সেন্টার তৈরী হচ্ছে। ২০১১ সালের ২৬৫০ মেট্রিক টনের তুলনায় খাদ্য মজুত করার ক্ষমতা ৪৪০০০ মেত্রিক টন করা হয়েছে।

পানীয় জলঃ পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়ার জন্য ২৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রকল্প শুরু হয়েছে। এতে উপকৃত হবে ১৬ লক্ষ মানুষ।

কিষাণ মান্ডিঃ নটি কিষাণ মান্ডি তৈরী করা হয়েছে।

১০০ দিনের কাজঃ ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে এই জেলায় ৭.২৯ কোটি কর্মদিবস তৈরী হয়েছে।

আবাসনঃ ১.২৬ লক্ষ মানুষ আবাসন প্রকল্পে উপকৃত।

মিশন নির্মল বাংলাঃ এই জেলাও নির্মল জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।

শিল্পঃ নৈহাটিতে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, অশোকনগরে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব ও মেগা পাওয়ারলুম ক্লাস্টার, ২২টি এমএসএমই ক্লাস্টার, নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার ও সিলিকন ভ্যালি হাব, নিউটাউন ও বসিরহাটে মিষ্টি হাব, হাবড়ায় টেক্সটাইল হাব, রাজারহাটে আইটিসির আইটি পার্ক ও গ্রীন সেন্টার। এই জেলার এমএসএমই শিল্পে ৮৯৭৮ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়েছে।

রাস্তা ও সেতুঃ প্রায় ৩২৮০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ/সারাই/চওড়া করা হয়েছে, চারটি উড়ালপুল ও দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

পর্যটনঃ বারাকপুরে মঙ্গল পান্ডে মেমোরিয়ালকে কেন্দ্র করে উৎসধারা, দক্ষিণেশ্বরে রানী রাশমণি স্কাইওয়াক, ইকো পার্ক, নজরুল তীর্থ, মাদার্স ওয়াক্স মিউজিয়াম, কোলকাতা গেট, ইছামতী নদীর ওপর লঞ্চে ভাসমান রেস্টোর‍্যান্ট, মালঞ্চ টুরিস্ট লজের সংস্কার, দেগঙ্গায় পথের সাথী মোটেলে চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা, বারাকপুরে লাটবাগানে রাজ্যপালের বাসভবনের সংস্কার।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনাঃ অসংগঠিত ক্ষেত্রের ৮.৩৫ লক্ষ শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

কর্মতীর্থঃ ৪৬টি কর্মতীর্থ আছে এই জেলায়।

খেলাধুলাঃ ২৪৮টি মাল্টি জিম, ২৫টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, বারাসাত স্টেডিয়াম তৈরী হয়েছে ২০১৭ সালের অনুর্ধ ১৭ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে সম্পূর্ণ সংস্কার করা হয়েছে। এআইএফএফের অধীনে ন্যাশানাল সেন্টার অফ এক্সসেলেন্স তৈরী হচ্ছে, সুন্দরবন কাপ আয়োজন করা হয়, নৈহাটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বারাকপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্স, খড়দহতে বেঙ্গল ফুটবল আকাদেমি ও হোস্টেল তৈরী হচ্ছে। বারাকপুর ও বনগাঁ স্টেডিয়াম সংস্কার করা হচ্ছে।