সাম্প্রতিক খবর

মে ৫, ২০১৯

পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন

পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এই জেলায়।

দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকেঃ

স্বাস্থ্যঃ তিনটি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, পাঁচটি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, দুটি ন্যায্য মূল্যের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, ২০টি এসএনএসইউ, দুটি এসএনসিইউ, ছটি সিসিইউ, ছটি এইচডিইউ, কাথি মহকুমা হাসপাতালের শয্যা ২০০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে।

স্কুল শিক্ষাঃ গত সাড়ে সাত বছরে ৩৫৯টি স্কুল তৈরী হয়েছে, ২২৭টি স্কুলকে উন্নীত করা হয়েছে।

বৃত্তিঃ সাড়ে সাত বছরে মোট ২.৮৪ লক্ষ মেয়েকে কন্যাশ্রী দেওয়া হয়েছে এবং ১.৪ লক্ষ পড়ুয়া পেয়েছে শিক্ষাশ্রী।

উচ্চ শিক্ষাঃ তিনটি সরকারি ডিরগী কলেজ, তিনটি আইটিআই, একটি পলিটেকনিক কলেজ। মহিশাদলে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হচ্ছে।

কিষাণ মান্ডিঃ ছটি কিষাণ মান্ডি তৈরী হয়েছে।

১০০ দিনের কাজঃ ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে এই জেলায় ১০.৫৯ কোটি শ্রম দিবস তৈরী হয়েছে।

আবাসনঃ গ্রামীণ আবাসন মিলিয়ে মোট সরকারি আবাসন প্রকল্পে এই জেলায় উপকৃত মানুষের সংখ্যা ১.৯২ লক্ষ।

মিশন নির্মল বাংলাঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নির্মল জেলা হিসেবে ঘোষিত জেলা।

শিল্পঃ হলদিয়াতে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার, আইটি হাব এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, ২৭টি এমএসএমই ক্লাস্টার, দীঘাতে কনভেনশন সেন্টার। তাজপুরে তৈরী হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর। এই জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৬৯৭৫ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়েছে।

সড়ক ও সেতুঃ ১৭০০ কিলোমিটারের বেশী রাস্তা নিরমান/সারাই/চওড়া হয়েছে। তিনটি সেতু এবং দুটি জেটি তৈরী হয়েছে এই জেলায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে।

পর্যটনঃ দীঘা, শঙ্করপুর, উদয়পুর, তাজপুর, মন্দারমণিতে সমুদ্রের ধারে নগর তৈরী হচ্ছে। তৈরী হয়েছে দীঘা গেট, পর্যটকদের জন্য দীঘা, শঙ্করপুর, উদয়পুর, তাজপুর, মন্দারমণিতে ওয়াচটাওয়ার, দীঘাতে বিশ্ব বাংলা উদয়ন, নিউ দীঘার নবগীতিকা ট্যুরিস্ট লজের সংস্কার, দীঘা বীচ ফেস্টিভ্যাল, পর্যটকদের জন্য দীঘা কলকাতা হেলিকপ্টার পরিষেবা, তাজপুর সৈকতের আলোকসজ্জা, সৈকত সরণীতে নয়াখালি, জালদা ও সাউলিতে তিনটি সেতু তৈরী হয়েছে এর ফলে কাথি থেকে দীঘার মেরিন ড্রাইভ সম্পূর্ণ হবে।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনাঃ অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় ৯.৮৬ লক্ষ শ্রমিক এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে।

কর্মতীর্থঃ এই জেলায় ১৪টি কর্মতীর্থ আছে।

খেলাধুলাঃ ৩০০টি মাল্টি জিম, ৬০টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, নন্দকুমারে যুব আবাসন তৈরী হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলাঃ তিনটি উপকূল পুলিশ ষ্টেশন তৈরী হয়েছে মন্দারমণি, জুনপুট এবং নয়াচরে।