সাম্প্রতিক খবর

মে ৬, ২০১৯

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় উন্নয়নের খতিয়ান

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় উন্নয়নের খতিয়ান

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে পর্যটনের অনেক সুযোগ সুবিধা। এর ফলে সুবিধা পেয়েছে অনেক সাধারণ মানুষ।

এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক উন্নয়নের কিছু খতিয়ানঃ

স্বাস্থ্যঃ তিনটি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, তিনটি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, দুটি ন্যায্য মূল্যের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, ১৪টি এসএনএসইউ, দুটি এসএনসিইউ, দুটি সিসিইউ, দুটি এইচডিইউ, একটি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব, একটি জিএনএম ট্রেনিং সেন্টার, সবং হাসপাতাল ও ১০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নতি।

স্কুল শিক্ষাঃ গত সাড়ে সাত বছরে ৮৭২টি স্কুল তৈরী হয়েছে, ৩০৫টি স্কুলকে উন্নীত করা হয়েছে।

বৃত্তিঃ সাড়ে সাত বছরে ৬.৪৩ লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী পেয়েছে, শিক্ষাশ্রী পেয়েছে ৪.৪৪ লক্ষ পড়ুয়া।

উচ্চ শিক্ষাঃ ছটি সরকারি ডিগ্রী কলেজ, সাতটি আইটিআই, দুটি পলিটেকনিক কলেজ।

কিষাণ মান্ডিঃ ১১টি কিষাণ মান্ডি তৈরী হয়েছে এই জেলায়।

১০০ দিনের কাজঃ ২০১৩-১৪ অর্থ বর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে তৈরী হয়েছে ১৩.৭৫ কোটি শ্রম দিবস।

আবাসনঃ ২.৩৩ লক্ষ মানুষ আবাসন প্রকল্পে উপকৃত হয়েছে।

মিশন নির্মল বাংলাঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নির্মল জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।

শিল্পঃ ছটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, একটি আইটি পার্ক, ২৩টি এমএসএমই ক্লাস্টার। এই জেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়েছে।

জঙ্গলমহলঃ ৩৩ হাজারের বেশী যুবকে পুলিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান প্রকল্পে ১২১৯টি উন্নয়নশীল প্রকল্প যেমন আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, পানীয় জলের প্রকল্প, সেচ প্রকল্প, স্কুলে ক্লাসরুম, রাস্তা, কমিউনিটি হল, বাজার, বিভিন্ন উপজীবিকা মূলক প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে ৯৮.৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে।

সেচঃ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ১২টি ব্লকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যা সম্পন্ন হলে ১৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে যারা প্রতি বার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন।

সড়ক ও সেতুঃ ৪৭০০ কিলোমিটারের বেশী রাস্তা নির্মাণ/সারাই/চওড়া করা হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে।

পর্যটনঃ গনগনি খাদকে পর্যটন কেন্দ্র, গনসুন্দরী নামে ট্যুরিস্ট কটেজ, বোটানিকাল গার্ডেন, হিজলি ইকো পার্কে স্পাইস গার্ডেন ও অর্কিড গার্ডেন করা হয়েছে, মেদিনীপুরের গান্ধীঘাট থেকে খড়গপুর কলেজের রাস্তা সুন্দর করা হয়েছে, ৭২.৫ হেক্টর জমিতে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান মাহুবনি ও ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থান বীরসিংহতে পর্যটন কেন্দ্র, কর্ণগড়ে মহামায়া মন্দিরের, পাথরা ও কারবালার ঐতিহাসিক মন্দিরের সংস্কার।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনাঃ অসংগঠিত ক্ষেত্রের ৪.৬৬ লক্ষ শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

কর্মতীর্থঃ ২৫ টি কর্মতীর্থ তৈরী করা হচ্ছে।

খেলাধুলাঃ ২৪৪টি মাল্টি জিম, ৮৮টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ১৭টি খেলার মাঠ, অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ও শালবনিতে স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক মানের ব্যাডমিন্টন কোর্ট।