জুন ২১, ২০১৮
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - এক সঙ্গীত অনুরাগী ও সঙ্গীতশিল্পীও বটে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই নামটি নতুন করে কোনও পরিচয়ের অপেক্ষা রাখে না। গত প্রায় ৪০ বছর ধরে রাজ্য তথা ভারতবর্ষের রাজনীতিতে তিনি এক সমাদৃত ব্যক্তিত্ব। গত সাত বছর ধরে তিনি ও তাঁর রাজনৈতিক দল তৃনমূল কংগ্রেস রাজ্যবাসীর আশীর্বাদে রাজ্যের শাসনভার সামলাচ্ছেন।
তাঁর শিল্পী সত্ত্বা বা সাহিত্য চর্চা বা শিল্পকলার প্রতি সমাদর আজ সর্বজনবিদিত। তাঁর লেখা কবিতা বা প্রবন্ধ রাজ্যবাসীর কাছে বহুলভাবে পরিচিত। তাঁর ছবি আঁকার প্রতিভাও কারও অজানা নয়। তার লেখা বই-এর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। একাধারে, তিনি একজন সঙ্গীতপ্রেমীও। একইসাথে তিনি গান লেখেনও। সংগীতশিল্পীদের যোগ্য সম্মান দেওয়া থেকে শুরু করে পুরোনো দিনের ‘অনুরোধের আসর’ ফিরিয়ে আনা – নানা নজির গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাত বছরেই।
২০১১ সালে রাজ্যের শাসনভার গ্রহন করার পর তিনি এক অভিনব প্রথা চালু করেন কলকাতায়। শহরের প্রত্যেকটি ট্রাফিক সিগনালে রবীন্দ্রসংগীত বাজানোর নিদান দেন তিনি। যাত্রাপথে ক্লান্ত হয়ে মানুষ যখন সিগন্যালে থামবেন, তখন তারা এই গান শুনে আনন্দ লাভ করতে পারবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সঙ্গীত শিল্পীও বটে। কলকাতার এক নামকরা দুর্গা পুজোর জন্য গত তিন বছর ধরে ‘থিম সং’ লিখেছেন তিনি। গাঙ্গুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে, ফিরেছে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। তাঁর লেখা কবিতায় সুর যুক্ত হয়ে বেরিয়েছে গানের অ্যালবামও।
২০১৬ সালে লন্ডন সফরের গিয়ে তিনি হাইড পার্কে হাঁটার সময় একজন অ্যাকোর্ডিয়ানবাদককে দেখতে পান। সঙ্গীত শুনে অভিভূত হয়ে, নিজেই ওই যন্ত্রটি বাজিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তিনি সিন্থেসাইজারও বাজাতে পারেন একদম পেশাদারদের মত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ৫টি জনপ্রিয় গান
“বৈচিত্রের মুক্তোয় গাঁথা একতার মণিহার”
“মাটি” (ওনার লেখা কবিতায় সুর দিয়ে বানানো অ্যালবাম)