সাম্প্রতিক খবর

জুন ৩০, ২০১৮

১লা জুলাই থেকে স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় আসছে কেবল অপারেটররা

১লা জুলাই থেকে স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় আসছে কেবল অপারেটররা

কেবল টিভি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অপারেটর, সাব অপারেটর, তাঁদের কর্মচারী এবং কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের গ্রুপ হেল্থ ইনসিওরেন্স স্কিম ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। পয়লা জুলাই থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে এই ব্যক্তিদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হচ্ছে। গোটা জুলাই মাস ধরেই চলবে এই কাজ।

এরই পাশাপাশি কেবল টিভির ব্যবসাকে ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্প দপ্তরের অধীনে আনা হয়েছে। নবান্নে কেবল অপারেটদের সংগঠনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ডাক ও তার বিভাগে নিবন্ধীকৃত কেবল অপারেটরের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। তাঁদের নিয়ন্ত্রণাধীন এক লক্ষেরও বেশি কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ধরলে এই প্রকল্পের আওতায় আসছেন ৫ থেকে ৬ লক্ষ মানুষ।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কেবল টিভি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের এক সভায় তাঁদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই ঘোষণার পর গত ৭ মে থেকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয় কেবল টিভি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের। এবার সেই প্রকল্পে উপভোক্তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হচ্ছে। যে ফর্ম পূরণ করে নাম নথিভুক্ত করতে হবে, তাও এদিন বিলি করা হয়েছে বৈঠকে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক মুখ্য সদস্য এবং তাঁর পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার আওতায় এলেন। ক্যান্সার, নিউরোসার্জারি, লিভারঘটিত রোগ, রক্ত সংক্রান্ত জটিলতার মতো জটিল ব্যাধির ক্ষেত্রে পলিসি-বর্ষের সময়কালে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার ব্যবস্থা থাকছে।

কলকাতার ক্ষেত্রে নাম নথিভুক্ত করতে হবে তথ্য কেন্দ্রে ডাইরেক্টর অব ফিল্মসের কাছে। জেলার ক্ষেত্রে নাম লেখাতে হবে ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন অ্যান্ড কালচারাল অফিসারের (ডিআইসিও) কাছে।